
দীর্ঘ ১৭ বছর আপনারা কোনো সাংবিধানিক অধিকার পাননি, আপনাদের ছেলে-মেয়েরা চাকরি পাননি, আপনাদের নাতি-নাতনিরাও চাকরি পাননি। আপনারা নিরাপদে চলাফেরা করতে পারেননি, ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারেননি। ইনশাআল্লাহ, তারেক রহমান যদি প্রধানমন্ত্রী হন, তাহলে জাতীয়তাবাদী আদর্শের শক্তিতে দেশের সমস্ত মানুষ সাংবিধানিকভাবে তাদের প্রাপ্য সবকিছু ফিরে পাবে বলে আমি মনে করি।
গতকাল শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে জেলা বিএনপি’র কার্যালয়ে বিএনপি’র চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ৮০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান।
তিনি আরো বলেন, আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকবেন ঐক্যের কোন বিকল্প নেই। এই আহ্বায়ক কমিটি দেওয়ার পর অনেকেই মনে করেছিলেন, হয়তো বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ করা সম্ভব হবে না। কিন্তু মেহেরপুরের বিএনপি চেয়েছে একটি মুক্ত, স্বাধীন দল যাদের লক্ষ্য মুক্ত ও স্বাধীনভাবে রাজনীতি করা। তাই আজ সবাই একটি দলের পতাকার নিচে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, সেটি হলো জাতীয়তাবাদী দল। ৩১ সদস্য বিশিষ্ট এই আহ্বায়ক কমিটির মাধ্যমে আপনারা ঐক্যবদ্ধ রয়েছেন।
জেলা বিএনপি’র সদস্য আনছার উল হকের সভাপতিত্বে মাহফিলে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়েজ মোহাম্মদ, সদস্য আলমগীর খান ছাতু, হাফিজুর রহমান হাফি, কে.এম. খায়রুল বাশার, সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট আবু সালেহ মোহাম্মদ নাসিম, রোমানা আহমেদ এবং পৌর বিএনপি’র সভাপতি আব্দুল লতিফ বিশ্বাস।
মেহেরপুর জেলা বিএনপি আয়োজিত দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন সদর উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক সাহিদুল ইসলাম ও পৌর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এহান উদ্দিন মনা।
এছাড়াও এসময় জেলা বিএনপি’র সদস্য মীর ফারুক, ওমর ফারুক লিটন, রেজাউল হক, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আজমুল হোসেন মিন্টু, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হক, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোশারফ হোসেন তপু, জেলা জাসাসের সদস্য সচিব বাকা বিল্লাহ, সদর থানা যুবদলের সাবেক সভাপতি হাসিবুজ্জামান স্বপন, সদর উপজেলা বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রিপন, পৌর বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক মীর জাহাঙ্গীর আলমসহ জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া মোনাজাত করা হয়।