তুলে নিয়ে আসা মোটরসাইকেল ফেরত দিলেন চেয়ারম্যান মতিন

অবশেষে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত গাংনী উপজেলার গোপলনগর গ্রামের রাজার মোটরসাইকেল দিয়ে আসলেন মেহেরপুর সদর উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান মতিন।

বৃহস্পতিবার বিকালের দিকে গাংনী থানায় অনুষ্ঠিত শালিস বৈঠকের মাধ্যমে তুলে নিয়ে আসা মোটরসাইকেল ফেরৎ দেন তিনি।

থানায় শালিস বৈঠকে মধ্যস্থতা করেন গাংনী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদ। এসময় গাংনী পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নাসির উদ্দীনসহ বিভিন্ন স্তুরের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত বুধবার আহত রাজার বাবা গোপালনগর গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম তার ছেলেকে প্রাণ নাশের চেষ্টা ও মোটরস্ইাকেল ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ এনে শ্যামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতিন, মেহেরপুর শহরের (জোছনা বেকারির মালিকের ছেলে) মফিজুলের ছেলে মিলনের নামে গাংনী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন।

লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, গত ২২ আগষ্ট দুপুরের দিকে আমার ছেলে মোটরসাইকেল যোগে মেহেরপুর যাওয়ার সময় মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের গাংনী বনবিভাগ পাড়া এলাকায় পৌছানো মাত্র কুষ্টিয়াগামী প্রাইভেট কার যার নং ঢাকা মেট্রো-গ-২৮-৮৬৪৮ দ্রুত গতিতে এসে মোটরসাইকেলে ধাক্কা মারে। এতে আমার ছেলের একটি পা ভেঙ্গে যায়। স্থানীয়রা রাজাকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন।

এসময় সুযোগ বুঝে ইউপি চেয়ারম্যান মতিন ও তার সহযোগী মিলন উপস্থিত অন্যান্য লোকদের হুমকি দিয়ে মোটরসাইকেলটি নিয়ে চলে যায়।

পরে চেয়ারম্যান মতিনের সাথে যোগাযোগ করলে সে ২ লাখ টাকা না দিলে মোটরসাইকেল দেবেনা বলেও ঘোষণা দেন এই চেয়ারম্যান। এছাড়া বিভিন্ন লোকজন গাংনী থানায় পাঠিয়ে মন্ত্রীর ভয়ভীতি দেখিয়ে ২ লাখ টাকা নেবে বলেও হুমকি দিতে থাকে।

চেয়ারম্যান মতিনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর গাংনী থানা পুলিশের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার দুপুরে উভয়পক্ষকে ডেকে নেন তদন্ত করার জন্য।

জানা গেছে, চেয়ারম্যান মতিন প্রায় অর্ধ শতাধিক লোক নিয়ে গাংনী থানায় হাজির হন। পরে উভয়পক্ষের সম্মতিতে শালিস বৈঠক করেন এসআই মাসুদ। শালিস বৈঠক শেষে চেয়ারম্যান মোটরসাইকেলটি থানায় নিয়ে গিয়ে ফেরত দেন।

গাংনী থানার এসআই মাসুদ জানান, উভয়পক্ষের সম্মতিতে গাংনী থানায় শালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এসময় চেয়ারম্যান মতিন ও তার লোকজন এবং গাংনীর একজন পৌর কাউন্সিলরসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

পরে চেয়ারম্যান মোটরসাইকেল তার পরিষদ থেকে এনে আহত রাজার পরিবারের কাছে তুলে দেন। পরে সমঝোতার মাধ্যমে বাদী রফিকুল আলম তার দেওয়া লিখিত আবেদন প্রত্যাহার করে নেন।