দরপত্র ছাড়াই স্কুলের গাছ বিক্রি করলেন প্রধান শিক্ষক

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বেতবাড়িয়া বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুলের দুটি গাছ বিক্রির অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। দরপত্র ছাড়া গাছ বিক্রির কোনো নিয়ম নেই বললেন মাধ্যিমিক শিক্ষা অফিসার। প্রধান শিক্ষক বলছেন কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিক্রি করা যাবে।

স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, কোন টেন্ডার ছাড়াই প্রায় ৫০ হাজার টাকা মুল্যের দুটি মেহুগনি গাছ নাটকীয় কায়দায় সাড়ে ২৭ হাজার টাকায় বিক্রি করেন প্রধান শিক্ষক ওহেদুল হক আসাদ। বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রির ঘটনায় শুরু হয়েছে নানা আলোচনা।

বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষক জানান, ইতিপূর্বেও বিদ্যালয়ের অনেক গাছ বিক্রয় করেছেন তিনি শুধুমাত্র একটি রেজুলেশন করে গাছ বিক্রি করেন এবারও তিনি দুটো গাছ বিক্রি করেন রেগুলেশন করেই। সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান শুধুমাত্র সভাপতি কে ম্যানেজ করেই এসব কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

গাছ ক্রেতা বেতবাড়িয়া গ্রামের বকুল বেপারী জানান, টেন্ডার ফেন্ডার বুঝিনি। হেড স্যার  বললেন গাছ বেচব। কম দামে পেলাম, লাভের আশায় কিনেছি।

অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক ওয়াহেদুল হক আসাদ জানান, গাছ বিক্রি করতে টেন্ডার দিতে হয় আমার জানা ছিল না। তাছাড়া এখানে একটি ভবন নির্মাণ করা হবে এ ভবন নির্মান কাজের ঠিকাদার গাছ কেটে ফেলার জন্য তাগাদা দিলে আমরা গাছ দুটি বিক্রি করি।

গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মীর হাবিবুল বাশার জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গাছ টেন্ডার ছাড়া বিক্রির কোনো সুযোগ নেই। তবে উনি যদি টেন্ডার ছাড়াই বিক্রি করে থাকেন তাহলে অবশ্যই ভুল করেছেন।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  মোহাম্মদ সেলিম শাহনেওয়াজ জানান, প্রধান শিক্ষক যদি টেন্ডার ছাড়া গাছ বিক্রি করে থাকে  আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।