একর প্রতি আখের ফলন বৃদ্ধি ও গুণগত মানসম্পন্ন আখ উৎপাদনের লক্ষ্যে ‘আধুনিক কলাকৌশল প্রয়োগ’ শীর্ষক মাঠ দিবস ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে কেরু অ্যান্ড কোম্পানির আকন্দবাড়িয়া পরীক্ষামূলক কৃষিখামারে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কেরু চিনিকলের মহাব্যবস্থাপক (কৃষি) আশরাফুল আলম ভূঁইয়া। উপব্যবস্থাপক (সম্প্রসারণ) মাহবুবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঐতিহ্যবাহী কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান এফসিএমএ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেরু চিনিকলের মহাব্যবস্থাপক (কারখানা) সুমন কুমার সাহা, উপব্যবস্থাপক (সম্প্রসারণ, বীজ) দেলোয়ার হোসেন, ব্যবস্থাপক (জৈব সার) জাকির হোসেন, বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএসআরআই) চুয়াডাঙ্গা উপকেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ওবায়দুল্লাহ শেখ, কেরুজ কৃষি খামার ইনচার্জ সুমন কুমার সাহা, ডিহি খামারের ইনচার্জ ইমদাদুল হক এবং আখচাষী মোরশেদুর রহমান লিংকন, সিরাজুল ইসলাম মনি, শামিম হোসেন, আফজালুর রহমান ধীরু, আদিল হক ডাবলু, আব্দুল আওয়াল, সোহেল রানা, শেখ ফরিদ আহম্মেদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে কেরু চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান বলেন, “আখের অধিক ফলন পেতে হলে আগামীতে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে আখ চাষের কোনো বিকল্প নেই। আখের মূল্য বৃদ্ধির দাবির প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী রোপণ মৌসুমের আগেই আখের মূল্য বৃদ্ধির ঘোষণা আসবে।”
তিনি আরও বলেন, আখ চাষ বাড়ান, এতে অধিক লাভবান হবেন। কেরু অ্যান্ড কোম্পানির পক্ষ থেকে চাষিদের সবধরনের সহায়তা প্রদান করা হবে।
তিনি জানান, এই মাঠ দিবসে আখ চাষে আধুনিক প্রযুক্তি এবং সাথী ফসল চাষাবাদের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
মাঠ দিবসে কেরু অ্যান্ড কোম্পানির কর্মকর্তারা এবং এলাকার বিভিন্ন আখচাষী উপস্থিত ছিলেন। আধুনিক পদ্ধতিতে আখ চাষ এবং এর সঙ্গে অন্যান্য ফসল (যেমন: ডাল, তেলবীজ ইত্যাদি) চাষ করে লাভবান হওয়ার উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
এছাড়া, আখ চাষে বিদ্যমান বিভিন্ন সমস্যা ও তার সমাধান নিয়েও মতবিনিময় হয়। বিশেষভাবে, রোগমুক্ত আখ বীজ উৎপাদন ও তার বিস্তারের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
কেরু অ্যান্ড কোম্পানির পক্ষ থেকে আখচাষীদের উন্নত মানের বীজ সরবরাহ এবং কারিগরি সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
এই ধরনের মাঠ দিবস আখচাষীদের আধুনিক প্রযুক্তি সম্পর্কে সচেতন করতে এবং তাদের উৎপাদিত পণ্যের মান উন্নয়নে সহায়ক হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।