
জামায়াতে ইসলামীর জেলা আমীর ও জামায়াত মনোনীত চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী মোঃ রুহুল আমিন বলেছেন, কোমলমতি শিশুদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানমুখী করার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা নিতে চাই। আমরা রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে দর্শনা অথবা দত্তনগরকেন্দ্রিক একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে চাই।
তিনি বলেন, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে রাস্তাঘাট বর্তমানে নাজুক অবস্থায় রয়েছে। সুযোগ পেলে এগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নির্মাণ করবো বিশেষ করে আমাদের যে হাইওয়ে রয়েছে তা ফোর লেনে উন্নীত করে যানজটমুক্ত করা হবে। কৃষকদের জন্য কোল্ড স্টোরেজের ব্যবস্থা করতে চাই। আমাদের এলাকায়, বিশেষ করে দর্শনায় সরকারি হাসপাতাল নেই সুযোগ পেলে চিকিৎসাসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেব।
তিনি আরও বলেন, আমরা প্রতি মাসে কীভাবে বয়স্ক ও মুক্তিযোদ্ধাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা যায় সে ব্যবস্থাও নেব। কিশোর গ্যাং বা যুব গ্যাং যেন সমাজে তৈরি না হয় আমরা তার প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিতে চাই। নারীর ক্ষমতায়নের বিষয়ে কেন্দ্রীয় জামায়াতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যেসব পেশায় নারীরা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন সেসব ক্ষেত্রে সুযোগ সম্প্রসারণ করা হবে। যেখানে নারীর উপস্থিতি বেশি, সেখানে তাদের কর্মঘণ্টা কমানো, বেবি কেয়ার ব্যবস্থা করা এবং নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করা হবে।
তিনি আরও জানান, গত বছর চুয়াডাঙ্গা জেলায় ১ লাখ গাছ লাগানো হয়েছিল। ক্ষমতায় গেলে আমরা নিজেরা কোনো সরকারি গাছ কাটবো না, কাউকেও কাটতে দেব না।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় দর্শনা পৌর অডিটরিয়াম কাম কমিউনিটি সেন্টারে জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত “ছাত্র ও যুব সমাজের মুখোমুখি প্রার্থী” শীর্ষক ব্যতিক্রমধর্মী অনুষ্ঠানে যুব ও ছাত্রসমাজের প্রতিনিধিদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে স্কুল–কলেজের শিক্ষার্থী ছাড়াও প্রায় ৬ শতাধিক যুবক অংশগ্রহণ করে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাওলানা আজিজুর রহমান এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি সাগর আহমেদ।
আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের দর্শনা পৌর আমীর সাহিকুল আলম অপু, ইসলামী ছাত্রশিবিরের জেলা সেক্রেটারি হাফেজ আমিরুল ইসলাম, সাবেক জেলা সভাপতি মহসিন এমদাদুল্লাহ জামেন, ছাত্রশিবিরের প্রকাশনা সহকারী আব্দুর রহিম, দর্শনা থানা শাখার সভাপতি লোকমান হৃদয়, দামুড়হুদা থানা সভাপতি আল ফাহাদ সবুজ, জীবননগর থানা সভাপতি মোঃ রাসেল আহমেদ, মাজলিসুল মুফাছসিরিনের জেলা সেক্রেটারি আব্দুল খালেক প্রমুখ।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মোঃ মাসুম বিল্লাহ।


