দর্শনায় বেনাপোল এক্সপ্রেস টেনে ধাক্কা লেগে ভ্যান চালক সবদদুলের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার ৩ অক্টোবর ভোর ৫ টার দিকে দর্শনা হল্ট স্টেশনের পাশে নিজ বাড়ি সংলগ্ন স্থানে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত সবদুল (৪৬) কুষ্টিয়া জেলার সাঁওতা গ্রামের মৃত, আজিজের ছেলে। সে দক্ষিণ চাঁদপুর গ্রামের হার্ট ডিসিশন বাজার পাড়ার আবু সামার জামাতা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত ভ্যানচালক সব্দুল বিবাহ সূত্রে দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণ চাঁদপুর গ্রাম হল্ট স্টেশন পাড়ায় জমি কিনে নিজ বসত বাড়িতে বসবাস করে আসছিল। স্টেশন সংলগ্ন বাড়ি হওয়ায় ভ্যান চালানো সহ ট্রেনের কাঁচামাল একস্থান থেকে অন্য স্থানে বহন কাজে নিয়োজিত ছিলো। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল রাত আড়াইটার দিকে গোয়ালন্দ (নকশি কাঁথা) ট্রেনের মালামাল বহন করে বাড়িতে ঘুমাতে যায়। শুক্রবার সাড়ে পাঁচটার দিকে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়া মারার জন্য চোখে ঘুম নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে রেল লাইনের ধার দিয়ে পায়ে হেটে স্টেশনের উদ্দেশ্যে আসছিলো ।
এ সময় দুর্ঘটনাবশত ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বেনাপোল গামী বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় লাইনের পাশে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলে মৃত্যুবরণ করেন। পরবর্তীতে ভোর পেরিয়ে সকাল হলে স্থানীয় লোকজন সবদুলের মৃত দেহ দেখতে পায়। পরে পরিবারের লোকজন ঘটনা স্থলে এসে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে দর্শনা জিআরপি পুলিশের ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনা খবর শোনার পরপরই ঘটনাস্থলে আমরা পৌঁছায়। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তবে নিহাতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না থাকাই লাশ দাফন কার্যের জন্য পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে নিহত পরিবারের সদস্যরা জানায়, গতকাল শুক্রবার বাদ জুম্মার শেষে দক্ষিণ চাঁদপুর জামে মসজিদে জানাজা নামাজের পর নতুন গোরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মৃত্যুকালে নিহত ভ্যানচালক সবদুলের একটা ছেলে সন্তান ও একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।