চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় গত দুই দিনের টানা নিম্ন চাপের কারণে বৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি ও নিম্নাঞ্চলে জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
দর্শনা পৌরসভার পরানপুর নলগাড়ী মাঠে গিয়ে দেখা যায় এক কৃষক তার বীজতলাকে বাঁচানোর শেষ চেষ্টা করে যাচ্ছে। পানিতে ডুবে থাকা বীজতলার চার পাশে বাঁধ দিয়ে পানি সেচে বীজতলা জাগিয়ে তুলার চেষ্টা করছে। পরানপুর গ্রামের কেসমত আলীর ছেলে কৃষক আব্দুর রহিম বলেন, আমি ২ বিঘা ১০ কাঠা জমিতে রোপা আমন ধান রোপন করার জন্য ২ কাঠা জমিতে খাটোবাবু ও ৮৯ ধানের বীজতলা করেছি। গত দুই দিনের বৃষ্টিতে পানির নীচে তলিয়ে গেছে।
আমি গত দুই দিন ধরে বৃষ্টি থামলেই থালা নিয়ে চলে আসছি বীজতলার পানি সেচতে। শেষ পর্যন্ত পানিতে ডুবে গেছে বীজতলা। আজ আবার শেষ চেষ্টা করছি জানি না বীজতলা রক্ষা করতে পারবো কিনা। এছাড়া পারানপুর গ্রামের নবাই মন্ডলের ছেলে মহসিন আলী জানান, আমি ৬ বিঘা পেঁপের চাষ করেছি। গত দুই দিনের বৃষ্টিতে জমিতে পানি জমে পেঁপে গাছগুলো মরে গেছে।
এভাবে বৃষ্টি হলে জমির সকল পেঁপে গাছ মারা যাবে। ফলে আমার মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যাবে। দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি কর্মকতার্ কৃষিবিদ শারমিন সুলতানা এর নিকট এলাকায় কি কি ফসলের ক্ষতি হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিশেষ করে নিম্ন অঞ্চলের জমিতে পেঁপে, সধ্য বিজতলা, সদ্য লাগানো রোপা আমন ধান, মরিচ, কলা বাগান, পাট ও আখের ক্ষেত পানিতে ডুবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তবে আর যদি বৃষ্টি না হয় তাহলে ক্ষতির পরিমান কিছুটা কম হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
এছাড়া দর্শনা থানাধীন দর্শনা পৌর এলাকার মোহাম্মদপুর ও বিজিবি ক্যাম্প পাড়ার কিছু নিম্নাঞ্চল জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের কর্মমতার্ আবহাওয়া বিদ মোঃ জামিনুর রহমান জানান গভীর সাগরে নিম্নচাপের ফলে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে আজ শুক্রবার বেলা ১২টা পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনাসহ বিভিন্ন স্থানে ৪৮ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আগামিকাল শনিবার পর্যন্ত আরো বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর বৃষ্টিপাত কুমে আসবে বলে আসা করা হচ্ছে।