দর্শনায় পৃথক দুইটি স্থানে দুই যুবকের অপমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। দর্শনা থানাধীন প্রতাপপুর গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে বাবুল আক্তার (৩৭) রাতে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। সে সেলুনের কাজ করতো। এছাড়া সে মালেশিয়ায় গিয়েছিল। সেখানে অসুস্থ্যতা বোধ করলে বাড়ি চলে আসে। তার ১৪ বছর ও ৮ বছরের ২টি ছেলে আছে।
সকালে বাড়ির লোকজন তার ঘরে গিয়ে ডেকে কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে গায়ে হাত দিয়ে দেখে সে রাতে ঘুমের ঘরে কোনো এক সময় মারা গেছে। এ বিষয় ৯৯৯ এ কেউ একজন মোবাইল ফোন করে বলেন, তাকে মেরে ফেলা হয়েছে বলে। এরপর এসপি সার্কেল মোস্তাফিজুর রহমান ও দর্শনা থানার অফিসার ইনর্চাজ মোহম্মদ শহীদ তিতুমীর ঘটনাস্থল পরিদর্শন তদন্ত করেন।
এছাড়া বেলা ১টার দিকে ডিবি, পিআইবি, ডিএসবি ও পুলিশ অধিকতর তদন্ত কাজ শুরু করেন। বেলা পৌনে ৩টার দিকে পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য তার লাশ চুয়াডাঙ্গা হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়ে দেন। বাবুল আক্তারের পিতা তাজুল ইসলাম ও স্থানীয় লোকজন জানান, সে দীর্ঘদিন ধরে ডাবেটিকস-সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ছিল। এ বিষয়ে দর্শনা থানার অফিসার ইনর্চাজ মোহম্মদ শহীদ তিতুমীর ঘটনাস্থল পরিদর্শন তদন্ত করে করেছেন বলে জানান, তিনি সাংবাদিকদের জানান, সে অসুস্থ্যতা জনিত কারণেই মারা গেছে।
যেহেতু ৯৯৯ নাম্বারে কেউ একজন মোবাইল ফোন করে বলেন, তাকে মেরে ফেলা হয়েছে। এ কারণে আমরা তার লাশ ময়না তদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছি। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে সঠিক ঘটনাটি জানা যাবে।
এছাড়া দর্শনা থানাধীন গহেরপুরের এক যুবক গলাই ফাঁস দিয়ে মারা গেছে। সে গহেরপুর গ্রামের তপন মাঝির ছেলে প্রান্ত (১৮)। গত শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ির পাশে বাগানে গাব গাছের সাথে গলাই ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে বলে পুলিশ জানায়। পুলিশ ও গ্রামবাসী জানান, প্রান্তর মাথায় সমস্যা ছিল। দর্শনা থানার অফিসার ইনর্চাজ মোহাম্মদ শহীদ তিতুমীর জানান, রাত ২টা ৩০ মিনিটের সময় ময়না তদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়।