
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা ছয়ঘরিয়া এলাকায় বন্ধুত্বকে কেন্দ্র করে পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে এক কিশোরকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে হযরত আলী নামের এক ব্যক্তি। নিহত কিশোরের নাম রিয়াদ (১৩), সে স্থানীয় স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র এবং একই এলাকার জিয়ারুল ইসলাম জিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া ব্যাকপাড়ার বাসিন্দা বায়তুল্লাহ’র ছেলে হযরত আলীর সঙ্গে একই পাড়ার জিয়ারুল ইসলামের ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব ছিল। এই সম্পর্ক নিয়ে হযরতের পরিবারে দীর্ঘদিন ধরে অশান্তি চলছিল।
সোমবার (১২ মে) দুপুর আনুমানিক ২টার দিকে গরুর গোবর রাখা নিয়ে হযরতের সঙ্গে জিয়ারুলের স্ত্রী শিল্পার কথাকাটাকাটি হয়। এ ঘটনার পর জিয়ারুল বিষয়টি জানতে হযরতের বাড়িতে গেলে, সেখানেই হযরতের স্ত্রী সুমাইয়া ও মা ফাহিমা বেগম কুকিয়া তাকে মারধর করেন।
এর কিছুক্ষণ পর হযরত ও বিদ্যুৎ (আনোয়ার হোসেনের ছেলে) বাড়িতে ফিরে এসে ধারালো হাসুয়া নিয়ে জিয়ারুলকে খুঁজতে বের হয়। জিয়ারুলকে না পেয়ে বাড়ির গেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা তার ছেলে রিয়াদকে পেয়ে যায় তারা। তখনই হযরত রিয়াদের ঘাড়ে ধারালো হাসুয়া দিয়ে কোপ দেন। ঘটনাস্থলেই মারা যায় রিয়াদ।
নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের পর গ্রামজুড়ে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। উত্তেজিত গ্রামবাসী হযরতের বাড়িতে হামলা চালিয়ে একটি মোটরসাইকেল ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা, দামুড়হুদা-জীবননগর সার্কেলের এএসপি জাকিয়া সুলতানা, দর্শনা থানার ওসি শহীদ তিতমীরসহ সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে হযরতের মা ফাহিমা বেগম কুকিয়া ও স্ত্রী সুমাইয়াকে আটক করেছে। তবে মূল অভিযুক্ত হযরত আলী ও বিদ্যুৎ এখনও পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
এ ঘটনায় নিহত রিয়াদের বাবা জিয়ারুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে।

 
								
				

 
												