চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় দুই দফায় সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে সোনালী ব্যাংকের টাকা বহনকারী একটি মাইক্রোবাস। এতে দুই পুলিশ সদস্যসহ তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তবে বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে মাইক্রোবাসটি। দুর্ঘটনার পর চালক পালিয়ে যায়।
গতকাল শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে দর্শনা হঠাৎপাড়া রেলগেট এবং মা ও শিশু হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা আহত ভ্যানচালককে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রথমে হঠাৎপাড়া রেলগেট এলাকায় বাসের সাইড দিতে গিয়ে ব্যাটারিচালিত পাখিভ্যানকে ধাক্কা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায় সোনালী ব্যাংকের টাকা বহনকারী মাইক্রোবাসটি। এতে গুরুতর আহত হন ভ্যানচালক। তবে মাইক্রোবাস চালক পেছনে ফিরে তাকাননি।
পরে দর্শনা মা ও শিশু হাসপাতালের কাছে মাটি কাটা এক্সকাভেটরকে সাইড দিতে গিয়ে দ্বিতীয়বার দুর্ঘটনার শিকার হয় মাইক্রোবাসটি। এতে সোনালী ব্যাংকের সহকারী অফিসার (অর্থ) আশিকুজ্জামান, দুই পুলিশ সদস্য ও মাইক্রোবাস চালক আহত হন। দুর্ঘটনার পর চালক শাহিন পালিয়ে যান।
সোনালী ব্যাংকের সহকারী অফিসার (অর্থ) আশিকুজ্জামান বলেন, আমি বারবার ড্রাইভারকে বলছিলাম গাড়ি আস্তে চালাতে, কিন্তু তিনি কর্ণপাত করেননি। আমরা চুয়াডাঙ্গা সোনালী ব্যাংক থেকে ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা মাইক্রোবাসযোগে দর্শনা সোনালী ব্যাংকে নিয়ে যাচ্ছিলাম। আল্লাহর রহমতে বড় দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে গেছি।
দর্শনা শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজিম বলেন, আমি মোটরসাইকেলে চুয়াডাঙ্গার দিকে যাচ্ছিলাম। আমার সামনেই এ দুর্ঘটনা ঘটে। মাইক্রোবাসটি অল্পের জন্য গর্তের ভেতর পড়ে যাওয়া থেকে বেঁচে যায়। পড়ে গেলে কেউই বাঁচতে পারত না। পরে আমি তাদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠাই এবং টাকাগুলো দর্শনা সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তার কাছে বুঝিয়ে দিই।