চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় পরিকল্পিতভাবে সাংবাদিকের ওপর ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনা ঘটেছে। দৈনিক পশ্চিমঅঞ্চল এর সংবাদকর্মী ও দর্শনা প্রেসক্লাবের সহসভাপতি চঞ্চল মেহেমুদকে কৌশলে ডেকে নিয়ে শারীরিক নির্যাতন ও অপমান করা হয়। এ ঘটনায় সাংবাদিক সমাজে ক্ষোভের ঝড় উঠেছে।
সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার রাতে ডায়াপ্যাথ কোম্পানির সাবেক প্রধান নির্বাহী মো. বজলুর রহমানের কাছে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে মো. মহিদ জোয়ার্দারের ইন্ধনে দর্শনা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ হামলা চালানো হয়। সেখানে সাংবাদিক চঞ্চল মেহেমুদকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করা হয়।
এ মর্মান্তিক ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার ৩ অক্টোবর সন্ধ্যায় দর্শনা প্রেসক্লাবে এক জরুরি সভা বসে। প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. ইকরামুল হক পিপুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও ধিক্কার জানানো হয়। সর্বসম্মতিক্রমে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান সুমনে,র সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আওয়াল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মো. মনিরুজ্জামান ধীরু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. ওসমান আলী, জাহিদুল ইসলাম, সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম, রাজিব মল্লিক ওয়াসিম রয়েল, সুকমল চন্দ্র দাস বাঁধন, আব্দুল হান্নান, ইমতিয়াজ রয়েল, সাব্বির আলীম, ফরহাদ হোসেনসহ অনেকেই।
প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন সাংবাদিকরা জাতির দর্পণ। সমাজের অসঙ্গতি, দুর্নীতি ও অন্যায়কে তুলে ধরতে গিয়ে বারবার আক্রমণের শিকার হচ্ছেন তারা। কিন্তু কলমের শক্তিকে রুখে দেওয়া যায় না। চঞ্চল মেহেমুদের ওপর হামলা কেবল একজন ব্যক্তির ওপর আক্রমণ নয়, বরং গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধের নোংরা প্রয়াস।
সভায় বক্তারা স্পষ্ট হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, সাংবাদিক সমাজ ঐক্যবদ্ধ। কোনো ষড়যন্ত্র বা হামলায় তারা দমে যাবে না। দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা না হলে আরো কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।