
দর্শনা উপজেলার পরানপুর গ্রামে এক যুবক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। গতকাল শনিবার দিবাগত গভীর রাতের কোনো এক সময় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবকের নাম আসানুল ইসলাম ওরফে রাজা মিয়া (২৫)। তিনি পরানপুর গ্রামের জামিরুল ইসলামের ছেলে। জানা গেছে, গভীর রাতে তিনি মায়ের দেওয়া ভাত না খেয়েই ঘরের আড়ার সঙ্গে গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। মৃত্যুর সময় তার মোবাইল ফোনে ভিডিও চালু ছিল এবং কানে হেডফোন লাগানো ছিল।
নিহতের মা রোজিনা খাতুন জানান, তিনি রাতে ছেলের খাটের পাশে ভাতের থালা রেখে আসেন। থালায় ছিল ভাত, পালন শাক ও এক টুকরা মাছ। সকালে দেখা যায়, ভাতের থালাটি যেভাবে রাখা হয়েছিল, সেভাবেই অক্ষত ছিল।
আজ রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পরিবারের সদস্যরা রাজার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। পরে মরদেহটি নামিয়ে দর্শনা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে বেলা ১১টার দিকে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
এ ঘটনার পর জামিরুল ইসলামের বাড়িতে শত শত মানুষ ভিড় করেন। নিহতের স্ত্রী রেশমা খাতুন বলেন, রাতে আমার সঙ্গে সে ভালোভাবেই কথা বলেছে। কোনো অস্বাভাবিক কিছু বুঝতে পারিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাজা মিয়া ঢাকায় একটি ট্রান্সপোর্টে চাকরি করতেন। তবে গত কোরবানির ঈদে বাড়িতে এসে আর ঢাকায় ফিরে যাননি। তিনি বর্তমানে বেকার ছিলেন।
দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুলতান মেহমুদ জানান, নিহতের শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে কিছু পারিবারিক ঝামেলা ছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে এবং পরে দাফন সম্পন্ন করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।