দর্শনার বাড়াদী বিলের লিজের টাকা না দিয়ে জোরপূর্বক মাছ ধরে নিয়েছে আকরাম ও তার দলবল

দর্শনার বাড়াদী বিলের জোরপূর্বক মাছ ধরে নিয়েছে আকরাম ও তার দলবল

লিজের টাকা তো দিলোই না। অপরদিকে মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আমার ছাড়া দেশী মাছগুলো জোর পূর্বক ধরে নিয়ে গেলো।

কান্না জড়িত কন্ঠে কথাগুলো বলেছে ছয়ঘরিয়া গ্রামের মৃত আলমগীর আল্লামা ইকবাল এর ছেলে আবু খালিদ মোঃ শমসের আলী। গত বাংলা-১৪৩১ সালের শ্রাবন মাসে আবু খালিদ মোঃ শমসের আলী বাড়াদী বীলে ৬৩৭ দাগে ৪ বিঘা জলকারের ৩ লাখ ৬ হাজার টাকায় জোর পূর্বক লিজ নেই বারাদি গ্রামের মাঝ পাড়ার মৃত মোজ্জাফর আলীর ছেলে আকরাম হোসেন (৬০)।

গত ৩০ শে-১৪৩১ পৌষ এ জোরপূর্বক লিজের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ভেড়ী বাধেঁর মাছ ধরে নেয়। এরপরও গতকাল আবু শমসের এর জলকারে বিশ প্রয়োগ করে শ্যালো মেশিন দিয়ে পানি নিস্কাশন করে প্রায় ২ লাখ টাকা মুল্যের দেশী মাছ জোরপূর্বক ধরে নেয়। এমনকি এলাকার মানুষ লেলিয়ে দিয়ে সমস্ত মাছ ধরে নেয়। জোরপূর্বক লিজের ২লাখ ৫০ হাজার ৬শত টাকা দেয়নি। বরং দেশী মাছগুলোও ধরে নিয়ে গেছে বাড়াদী গ্রামের মৃত মোজ্জাফর আলীর ঝেলে আকরাম হোসেন (৬০) ও একই গ্রামের মোতালেব আলীর ছেলে ইলিয়াস হোসেন (৪৫)। বড়বলদিয়া গ্রামের ন্যাড়া মিয়ার ছেলে মামুন (৪২) ও সাড়াবাড়িয়া গ্রামের নাজমুল ইসলাম। এমনি অভিযোগ করেছে আবু খালিদ মোঃ শমসের।

এ বিষয় আবু খালিদ মোঃ শমসের আরো বলেন, এছাড়া আমার জমির সমস্ত কাগজপত্র থাকা স্বত্তেও কিছু প্রভাশালী রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এভাবে আমার জলকার ও জমিতে ধান চাষ করে আসছে। তিনি আরো বলেন, থানায় অভিযোগ করেও ফলাফল পাইনি।

এ বিষয় আকরাম হোসেন বলেন, আমরা জমি লিজ বাবদ ৫০ হাজার টাকা দিয়েছি এবং দেড় মন খাওয়ার মাছ দিয়েছি। আমরা নিয়ম মাফিক লিজ নিয়েছি এবং লিজের চুক্তিনামায় গ্রামের ৩শত জনের স্বাক্ষর আছে।

এ ক্ষেত্রে আবু খালিদ মোঃ শমসের বলেন, আমাকে শুধুমাত্র ৩০ কেজি তেলাপিয়া মাছ আর ৫০ হাজার টাকা দেয়। এছাড়া আর কিছুই পায়নি। বাকি টাকা তো দেয়নি এবং আমাকে প্রান নাশের হুমকি দিচ্ছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি প্রশাসনের কাছে।