দর্শনায় ধর্ষিতার পরিবার কে নানা রকম হুমকি দিচ্ছে ধর্ষণকারীর পরিবার

দর্শনা পারকৃষ্ণপুর গ্রামের সুমাইয়া ধর্ষণ ও হত্যাকারী লম্পট মোমিনুল ইসলামের জামিন প্রক্রিয়া চলছে। সুমাইয়ার পরিবারকে নানা ধরণের হুমকি প্রদর্শন করছে মোমিনুলের পরিবারের পক্ষ থেকে। ফলে সুমাইয়ার পরিবারের লোকজন আতংকে দিন কাটাচ্ছে।

আগামী ২২/০৯/২০২০ তারিখে ধর্ষণকারী লম্পট মোমিনুল ইসলামের জামিনের জন্য তার পরিবার জোর প্রক্রীয়া চলছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয় সুমাইয়ার খাতুনের মা পলি খাতুন ও নানী রোজিনা খাতুন জানান, লম্পট মোমিনুল ইসলামের মামাতো বোন শিউলী খাতুন, আক্কাস আলীর ছেলে মামা হাফিজুল ইসলাম ও নজু আমাদের পরিবারকে নানা ধরণের হুমকি-ধামকি প্রদর্শন করছে। মোমিনুলকে জামিন করার পর রক্তের বন্যা বয়ে দেবে। কার কটা লাঠি আছে দেখিয়ে দেব। এমনি নানা ধরনের বিশ্রী ভাষায় গালি-গালাজ করছে এবং গায়ে গা লগিয়ে ঝগড়া করতে আসছে বলে দাবী করেন।

উল্লেখ্য গত ০১/০২/২০২০ তারিখে পারকৃষ্ণপুর গ্রামের নাছিরুল ইসলামের কন্যা শিশু ১ম শ্রেনীর ছাত্রী সুমাইয়া খাতুন (০৭) কে একই গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে মোমিনুল ইসলাম (২০) জোর পূর্বক ধর্ষণ করার পর হত্যা করে বলে পুলিশ আলামত দেখে জানান।

গত ০১/০২/২০২০ তারিখ বেলা সাড়ে ১২টার দিকে পারকৃষ্ণপুর মদনা সড়কে পিচ করা দেখছিল সুমাইয়া। এসময় লম্পট মোমিনুল তাকে ফুসলিয়ে আয়ুব আলীর শিম বানের নিচে নিয়ে গিয়ে ধর্ষনের পর হত্যা করে।

সুমাইয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে দিনভর অনেক খুঁজাখুঁজির পর পারকৃষ্ণপুর গ্রামের মসজিদের মাইকে প্রচার করা হয়। এরপর গ্রামের মানুষ সুমাইয়াকে খুঁজতে মাঠে নেমে পড়ে। মাঠ, ঘাট, নদীর পাড় খুঁজতে খুঁজতে রাত সাড়ে ১০টার সময় তাকে আয়ুব আলীর শিম ক্ষেতের মধ্যে মুখের মধ্যে তার পরণের কাপড় গুজে দেওয়া ও রক্তাক্ত অবস্থায় গ্রামবাসী দেখতে পায়।

এরপর দামুড়হুদা থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ সুমাইয়ার লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেন। এবং ডাক্তারী পরীক্ষা করা হলে ধর্ষনের আলামত পাওয়া যায়।

পরদিন সুমাইয়ার পিতা নাছিরুল ইসলাম বাদী হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০/২০০৩ (সংশোধনী) আইনে মোমিনুল ইসলামকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।
পরে পুলিশ ১৬১ ধারায় আসামীর জবানবন্ধী লিপিবদ্ধ করে জেল হাজতে প্রেরন করেন। এঘটনার বিচার চেয়ে পারকৃষ্ণপুর গ্রামবাসী, তার বিদ্যালয়ের ছেলে মেয়েরো আসামীর দৃষ্টান্তমুলোক শাস্তির দাবী করে মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন।

এছাড়া চুয়াডাঙ্গা জেলা লোকমোর্চা, প্রত্যয় সংগঠন ও বিভিন্ন পেশাজীবি, রাজনৈতিক বিভিন্ন সাংস্কৃকিত সংগঠন সুমাইয়া হত্যার বিচারের দাবীতে ফেটে পড়ে। এলাকাবাসীর দাবী আগামী ২২/০৯/২০২০ তারিখে যাতে আসামীর জামিন না হয় সে বিষয় জোর দাবী করেছেন।