দর্শনায় সরকারি জমি অবৈধ দখল নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষের আশংকা

দামুড়হুদা উপজেলা দর্শনা শ্যামপুর গ্রামে সরকারি জলাশয় পতিত জমি দখলকে কেন্দ্র করে যে কোন সময় বড় ধরণের রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষ হতে পারে বলে আংশকা প্রকাশ করেছে গ্রামবাসী। দর্শনা থানার শ্যামপুর মল্লিক পড়ার রাজ্জাকসহ বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি প্রকাশ্য পতিত জলাশয় দখলের চেষ্টা করছে। এ নিয়ে গ্রামবাসী ও আব্দুর রাজ্জাক দীর্ঘদিন চলে আসছে হামলা-পাল্টা হামলা ও ভাংচুর।

জানাযায় দর্শনা শ্যামপুর মল্লিক পাড়ার চৌওরাস্তার সংলঘ্ন নদীর পাশে ১৪/১৫ আগে উজ্জলপুর নলবিলা গ্রামের মৃত আয়ুব আলী ছেলে আব্দুর রাজ্জাক এসে শ্যামপুর গ্রামের মল্লিকপাড়ায় ২৬ শতক জমি ক্রয় করে। সে সময় থেকেই নদীর পাশে অবস্থিত কবর স্থান সংলঘ্ন জলাশয় দখল করার নানা ফন্দি করে আসছে এ জমি দস্যু আব্দুর রাজ্জাক ওরফে ফল রাজ্জাক।

স্থানীয়দের দাবি রাজ্জাক বেশ কয়েক বার মাস্তান নিয়ে কবর স্থান ও জলাশয় দখল করতে আসে। সে সময় এলাকার জনগন তাদের বাধা প্রদান করলে নিরিহ জনগনের উপর ক্ষিপ্ত হুমকি ধামকি প্রদান করে। এ নিয়ে গত বুধবার পূর্বের ন্যায় আবার রাজ্জাকসহ বেশ কয়েকজন স্ব-দলবলে এসে পুকুরে মাটি ভরাট ও কবর স্থানের জায়গা দখল করতে আসার অভিযোগ উঠেছে। এসময় গ্রামের মানুষ তাদের উপর চড়াও হলে চলে যায়, জমির বিষয়ে কথা বলায় রাজ্জাক এলাকার বিভিন্ন মানুষের নামে থানায় অভিযোগ ও কোর্টে মামলা করে হয়রানি করে আসছে বলে জানান গ্রামবাসি।

ঘটনাটি নিয়ে গত মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টায় দর্শনা থানার সেকেন্ড অফিসার আহাম্মদ আলী গ্রামবাসী ও আব্দুর রাজ্জাকের সাথে শালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এসময় আহম্মদ আলী উভয় পক্ষের মধ্যে সিদ্ধান্ত দেন আগামী ৭দিনের মধ্যে সরকারের কাছ থেকে গ্রামবাসী ঐ জমির অনুমোদন আনতে হবে। না হলে যেহেতু আব্দুর রাজ্জাকের জমি সংলগ্ন সেহেতু ঐ পতিত জমি আব্দুর রাজ্জাকের হবে। ঐ সময় পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বলবত থাকবে। এ শালিস বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, শ্যামপুর গ্রামের লিয়াকত আলী, আব্দুর রহমান, ওযার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফ মল্লিকসহ প্রায় ১০/১২জন ও আব্দুর রাজ্জ্ক।

এছাড়া দর্শনা প্রেসক্লাবের সভাপতি মনিরুজ্জামান ধীরু, সাধারণ সম্পাদক হারুন রাজু, সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আওয়াল হোসেন ও সাংবাদিক ইকরামুল হক পিপুল। সাংবাদিকদের দাবি ঘটনাটির সুষ্ঠ নিস্পত্তি হোক। এদিকে এ জমিকে ঘিরে ১৯৮৬ সালে দিকে সিতাব মালিথা নামে একজন খুন হয়েছিল। ফলে ঘটনাটি যাতে সরকারী পতিত হিসাবে থাকে এ বিষয় গ্রামবাসী জেলা প্রশাসকের নিকট দাবী করেছেন।