
চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনার আকন্দবাড়িয়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা পুত্র জামাত আলিকে হত্যা প্রচেষ্টা মামলার আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালোও গত প্রায় এক মাসেও তাদের গ্রেফতার করা হয়নি বলে বাদি পক্ষ অভিযোগ করেছে। মারাত্বক যন্ত্রনায় ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে ছটফট করছে বলে জানান।
পুলিশ ও এলাকাবাসিরা জানায়, দর্শনা আকন্দবাড়িয়া গ্রামের মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেমের ছেলে মোঃ জামাত আলি পাশের উথলি গ্রামের খোকন বিশ্বাসের কয়েক বিঘা জমি দীর্ঘদিন লিজ নিয়ে চাষ করে আসছে।
এসব বিষয় নিয়ে উথলি আমতলা পাড়ার ফজলুর রহমানের ছেলেদের সাথে জামাত আলির প্রায় সময় কথা কাটাকাটি হয় এবং জামাত আলিকে জমি ছেড়ে দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে আসছিল। কোনো কথায় যখন কাজ না হয় তখন চলতি মাসের ৬ ডিসেম্বর বিকালে উথলি গ্রামের ফজলুর রহমানের লোকজন জামাত আলিকে উথলি বাসস্ট্যান্ড কৃষি ব্যাংকের কাছে আসতে বল্লে সে চলে আসে। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে জামাত আলিকে দিনের বেলায় প্রকাশ্যে পিটিয়ে ও কুপিয়ে মৃত ভেবে তারা চলে যায়।
স্হানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে চুয়াডাঙ্গা পরে অবস্হার অবনতি হলে পরদিন ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে তাকে রেফার্ড করা হয়। অসংখ্য কোপের যন্ত্রনা ও ক্ষত নিয়ে জামাত আলি এখন মারাত্বক যন্ত্রনায় হাসপাতালের বেডে ছটফট করছে।
গত ১১ ডিসেম্বর আহত জামাত আলির ছোট ভাই ফয়সাল হোসেন বাদি হয়ে জীবননগর থানায় ১৪৩/৩২৩/৩২৬/৩০৭ ধারায় (হত্যা প্রচেস্টা) একটি মামলা দায়ের করে(মামলা নং ৯)। জীবননগর থানার ওসি মোঃ সোলায়মান শেখ মামলাটি আমলে নিয়ে রেকর্ড করেন এবং মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা হিসেবে থানার সাব ইন্সপেক্টর রকি মন্ডলকে দায়িত্ব প্রদান করেন।
মামলার ভিকটিম জামাত আলির স্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, হত্যা চেষ্টা মামলার আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং আমাদের হুমকি ধামকি দিচ্ছে। বিষয়টি পুলিশ সুপার মহদ্বয় দেখবেন বলে নিরীহ পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসিরা মনে করেন।