দর্শনা কেরুজের এক শ্রমিক হাতে নাতে মদসহ আটক ; মুচলেকায় মুক্তি
চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় কেরু এন্ড কোম্পানির মদ তৈরির কারখানা থেকে মদ চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় নিরাপত্তা কর্মীদের কাছে হাতে,নাতে ধরা পড়েছে রকি নামের কেরুর এক শ্রমিক।
গতকাল রবিবার সকালে কেরু এন্ড কোম্পানির মদ তৈরীর কারখানা ডিষ্টিলারী বিভাগের গেটে এঘটনা ঘটে। মদসহ হাতে,নাতে ধরা পড়া রকি কেরুজ পরিবহন বিভাগের চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক।
এদিকে নিরাপত্তাকর্মীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মদ চোর রকির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ডিষ্টিলারী বিভাগের মহা-ব্যবস্থাপক একটি লিখিত পত্র (নোট) দিয়েছে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নিকট। ঘটনাটি নিয়ে কেরুজ ক্যাম্পাস জুড়ে বইছে নানামূখি আলোচনা-সমালোচনা।
জানা যায়, গতকাল সকাল ১০ টার দিকে কেরুজ চিনিকলের ডিষ্টিলারী বিভাগ (কারখানা) থেকে ৩৭৫ মিঃগ্রাম ওজনের ৪ বোতল মদ চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় রকি নামের এক শ্রমিক নিরাপত্তা কর্মীর হাতে ধরা পড়েছে। সে মদ চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় ডিষ্টিলারী বিভাগের গেটে কর্মরত নিরাপত্তাকর্মী শহিদুল ইসলামের হাতে ধরা পড়ে। মদ সহ ধরাপড়া রকি কেরুজ পরিবহন বিভাগের চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক ও কেরুজ স্কুলপাড়ার কোয়ার্টারের বাসিন্দা আলাউদ্দিনের ছেলে। অভিযুক্ত রকির বিরুদ্ধে কারখানা বিভাগ থেকে এর আগেও মদ চুরির অভিযোগ রয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কেরু এন্ড কোম্পানির এক কর্মচারী বলেন, প্রভাবশালী শ্রমিক নেতাদের ছত্রছায়ায় থেকে একটি চক্র নিয়মিত কারখানা থেকে লাখ,লাখ টাকার দামি মদ চুরি করে নিয়ে যায়। আর সে সমস্ত মদ বাহিরে নিয়ে বিক্রি করে থাকে। এতে করে চোরেরা লাভবান হলেও ক্ষতিগ্রস্থ হয় প্রতিষ্ঠান। এই চক্রের সদস্য মাঝেমধ্যে ধরা পড়লেও অদৃশ্য ইশারায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। ফলে দিনদিন মদ চুরির মাত্রা বেড়েই চলেছে।
কেরুজ ডিষ্টিলারী বিভাগের কর্মরত নিরাপত্তাকর্মী শহিদুল ইসলাম বলেন, সে ডিষ্টিলারী বিভাগের গেট দিয়ে বের হওয়ার সময় তার বর্ডি চেক করে ৩৭৫ মিঃ গ্রামের ৪টি বোতল সহ হাতে,নাতে ধরা হয়। এ মদ সহ তাকে ধরাতে আমাকে নানাভাবে হুমকি দেয়। মদ সহ তাকে ধরে অফিসারদেরকে জানানো হয়। তিনারা এসে মাদ সহ ধরাপড়া রকির কাছ হতে লিখিত নিয়ে ছেড়ে দেয়।
এব্যাপারে মাদকদ্রব্য কর্মকর্তা সানোয়ার হোসেন বলেন, চুরির কথা শুনেছি। এ ঘটনাটি ডিষ্টিলারী বিভাগের গেটের মুখে কর্মরত নিরাপত্তাকর্মীর হাতে ধরা পড়ে। এ বিষয়ে ডিষ্টিলারী জিএম চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) নিকট লিখিত একটি নোট দিয়েছে।
ডিস্টিলারি বিভাগের ব্যবস্থাপক রাজিবুল ইসলাম জানান, চার বোতল মদ সহ আমাদের নিরাপত্তা কর্মীরা একজনকে আটকের পর চোর দৌড়িয়ে পালিয়ে গিয়েছে। আমরা চোর শনাক্ত করতে পেরেছি। সে কোম্পানির পরিবহন বিভাগের চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক। আমরা তার বিরুদ্ধে উর্ধ্বতন কর্মকতার নিকট লিখিত ভাবে একটি নোট দিয়েছি। এ ঘটনায় কেরু এন্ড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. মোশারফ বলেন, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ডিস্টিলারি জিএমকে নোট দিতে বলেছি।