দর্শনা কেরুজে পিট পদ্ধতিতে আখ চাষের শুভ উদ্ধোধন

দর্শনা কেরুজে পিট পদ্ধতিতে আখ চাষের শুভ উদ্ধোধন

চিনি উৎপাদনের প্রধান কাঁচামাল আখ। সেই আখ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে দর্শনা কেরুজ চিনিকল কর্তৃপক্ষ রিং পিট পদ্ধতিতে আখ চাষের উদ্যাগ গ্রহণ করেছেন।

গতকাল রোববার বেলা ১১ টার দিকে চিনিকলের আওতাধীন ডিহি কৃষি খামার রিং পিট পদ্ধতিতে আখ চাষ পরিদর্শণে আসেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের যুগ্নসচিব মনিরুজ্জামান। এসময় তিনি বলেন, আখ একটি জনপ্রিয় অর্থকারি ফসল। এটি চিনি উৎপাদনের মূল উপাদান। কি চাহিদার তুলনায় আখ উৎপাদন অনেক কম। এর কারণেও অনেক। সঠিক পরিচর্যা বা চাষাবাদের অভাব, ফসলের বচিতর্য, বিভিন্ন মেয়াদী সবজি ফসলের আবাদ বদ্ধি, ফলের বাগান তৈরী ইত্যাদি কারণ দিন দিন আখ চাষের জমি কমে যাচ্ছে। কম জমিতে অধিক পরিমাণ আখ উৎপাদন করার জন্য দর্শনা কেরুজ চিনিকল কর্তপক্ষ রিং পিট নাম বিশেষ একটি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে আখ চাষের উদ্যাগ গ্রহণ করেছে। অন্যদিকে চিনিশিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি কৃষকরা যাতে আখ চাষে বিশেষ গুরুত্ব দেয় তার জন্য নানামুখি উদ্যাগ গ্রহণ করেছে কর্তপক্ষ। তারি অংশ হচ্ছে রিং পিট পদ্ধতিতে আখের চাষ।

এছাড়া কৃষকদের আখ চাষের প্রতি উৎসাহিত করার জন্য বীজ, সার, কীটনাষক সহায়তা দিয়ে থাকে চিনিকল কর্তপক্ষ। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে আখ চাষ করে অল্প জমিতে অধিক পরিমাণ ও ভালাে মানের আখ উৎপাদন করা যায় শিল্পম্ত্রাণালয় সেলক্ষে কাজ করে যাচ্ছে। একটিই উদ্দেশ্য চিনিশিল্পকে টিকিয়ে রাখতে হবে। এদিকে গত মৌরসুমে ফুরশেদপুর কৃষি খামার অল্পকিছু জমিত রিং পিট পদ্ধতিতে পরীক্ষামূলকভাবে আখ চাষ করা হয়। এ পদ্ধতিত জমিত নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে একাধিক গর্ত করা হয়।

এগুলাে প্রায় এক থেক দেড় ফুট গভীর করা হয়। এক একটি গর্তের মধ্য ১২ থেকে ১৩টি এমন দুই চােখ যুক্ত আখের টুকরা লাগানাে হয়। এ পদ্ধতি ব্যবহার করলে সমপরিমাণ জমিতে সাধারণ আখ চাষের তুলনায় ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ বেশি পরিমাণ উৎপাদিত হয় বলে সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষ জানিয়েছেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন দর্শনা কেরুজ চিনিকলের সুযোগ্য ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন, কেরুজ জি এম কৃষি আশরাফুল আলম ভৃইয়া,গ্যারেজ ইন্জিনিয়ার আবু সাঈদ, কেরুজ বাণিজ্যিক বিভাগের ডিহি খামারের ইনচার্জ ইমদাদুল হক।