
দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ও পারকেষ্টপুর-মদনা ইউনিয়নে পৃথকভাবে অটোমেটেড ভূমি সেবা সিস্টেমে তথ্য সন্নিবেশ ও সংশোধন সংক্রান্ত দুই দিনব্যাপী ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কে. এইচ. তাসফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে কার্পাসডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এবং দুপুর ১২টার দিকে ছয়ঘরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন তিনি।
উদ্বোধন শেষে সরাসরি এসিল্যান্ডের কাছ থেকে হাতে-কলমে পরামর্শ ও সেবা পেয়ে খুশি হন একাধিক জমির মালিকসহ সেবা গ্রহীতারা।
জমি সংক্রান্ত বিষয়ে জনগণের ভোগান্তির কথা উল্লেখ করে সহকারী কমিশনার (ভূমি) বলেন, ভূমি সংক্রান্ত দুর্নীতি দূরীকরণে ভূমি মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সকলেই আন্তরিকতার সঙ্গে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের দেশের অধিকাংশ বিরোধের মূল কারণই ভূমিকে কেন্দ্র করে। ভূমি ব্যবস্থাপনাকে ডিজিটালাইজ করার মাধ্যমে এই সমস্যাগুলো হ্রাস করা সম্ভব হবে। অটোমেটেড ভূমি সেবা সিস্টেম শতভাগ চালু হলে জমির মালিকরা সহজেই ভূমি সেবা পাবেন।
তিনি আরও বলেন, ভূমি সেবার আধুনিকায়ন, জমির মালিকদের তথ্যের সঠিক সংরক্ষণ এবং ডিজিটাল পদ্ধতিতে দ্রুত সেবা প্রদানের লক্ষ্যে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন প্রকল্প ও দামুড়হুদা উপজেলা ভূমি কার্যালয়, ইউএনডিপি বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে কার্পাসডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও পারকেষ্টপুর-মদনা ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ২৩ ও ২৪ অক্টোবর এই দুই দিনব্যাপী ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস, কার্পাসডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা জেসমিন আক্তার, কার্পাসডাঙ্গা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মনিরুজ্জামান, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ, দর্শনা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা সাদ আহমেদ, দামুড়হুদা সহকারী ভূমি কার্যালয়ের প্রধান সহকারী কাম হিসাব রক্ষক সোহেল রানা, সার্ভেয়ার সুজন মোল্লা, প্রকল্প সমন্বয়ক জামাল উদ্দিন, ইউএনডিপি প্রতিনিধি, ইউপি সদস্য, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ শতাধিক সেবা গ্রহীতা ও সাংবাদিকবৃন্দ।
ক্যাম্পেইনে কর্মকর্তারা জানান, এই উদ্যোগের মাধ্যমে উপজেলার ভূমি মালিকরা বিনামূল্যে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে পারবেন, নিজ নামে প্রোফাইল তৈরি করতে পারবেন এবং জাতীয় পরিচয়পত্র ও নিজস্ব মোবাইল নম্বর সংযুক্ত করতে পারবেন।
সেবা গ্রহণের জন্য ভূমি মালিকদের অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র, নিজ ব্যবহৃত সচল মোবাইল নম্বর ও নামজারি পর্চা সঙ্গে আনতে হবে।
উপজেলার বাকি ইউনিয়নগুলোতে পরবর্তী সময়ে ক্যাম্পেইনের তারিখ জানিয়ে দেওয়া হবে বলেও কর্মকর্তারা জানান।
সেবা গ্রহীতারা জানান, এখানে এসে সরাসরি ভূমি কর্মকর্তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ পেয়ে তারা আনন্দিত। অনেক জমির মালিক এই উদ্যোগ থেকে উপকৃত হবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তারা।
উপস্থিত অতিথিবৃন্দ বলেন, এ ধরনের উদ্যোগ ভূমি সেবা ব্যবস্থাপনার স্বচ্ছতা, দক্ষতা ও জনসেবার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।