দামুড়হুদায় অবৈধ ট্রাক্টর পাখি ভ্যান ও আলম সাধুর সংঘর্ষে স্কুলছাত্রীসহ আহত ৪

দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর শেখ ইট ভাটার সামনে অবৈধ ট্রাক্টর পাখি ভ্যান ও আলম সাধু মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আলম সাধু চালক ও পাখি ভ্যানে থাকা যাত্রীসহ ৪জন গুরুতর আহত হয়েছে।

আহতরা হলেন, দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের জয়রামপুর গ্রামের মৃত দবির উদ্দিনের ছেলে ভ্যান চালক নাসির উদ্দিন (৫৫), জাহিদুল ইসলামের মেয়ে সুমাইয়া খাতুন (১২), শফিউর রহমানের মেয়ে শেফা খাতুন (১২)ও কাদিপুর গাংপাড়া গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে আলম সাধু চালক হোসাইন (১৮)।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তাদেরকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে প্রথমে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হইতে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার, ওয়াহেদ মাহমুদ রবিন প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আলম সাধু চালকের অবস্থা আশঙ্কাজনক হাওয়ায় রাজশাহী রেফার্ড করেন, পাখি ভ্যানের যাত্রী সুমাইয়া খাতুন কে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে রাখেন। পাখি ভ্যান চালক নাসির উদ্দিন ও পাখি ভ্যানের যাত্রী মোছাম্মৎ সেফা খাতুন কে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছাড়পত্র প্রদান করেন।

স্থানীয়রা সূত্রে জানা যায়, দামুড়হুদা অভিমুখ হইতে আসছিলো অবৈধ ট্রাক্টর, দর্শনা অভিমুখ হইতে আসছিলো আলম সাধু ও জয়রামপুর থেকে পাখি ভ্যান চালক দুইজন স্কুলছাত্রী নিয়ে দামুড়হুদায় আসছিলো এই সময় হাউলী ইউনিয়নের জয়রামপুর শেখ ইট ভাটার সামনে পৌছালে একটি অবৈধ ট্রাক্টর অন অভিজ্ঞ ড্রাইভার পাখি ভ্যান ও আলম সাধুর সামনাসামনে ধাক্কা মারে । এতে আলম সাধু চালক, পাখি ভ্যান চালক সহ যাত্রীরা ছিটকে পাকা রাস্তায় পড়ে গুরুতর আহত হয়।

স্থানীয় লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। অবৈধ ট্রাক্টর ড্রাইভার ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেলেও ট্রাক্টরটি দামুড়হুদা মডেল থানা হেফাজতে নেন পুলিশ।

এবিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, দূঘটনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থানে যায়,আহত ৪ জনকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।ট্রাক্টরটি আমাদের হেফাজতে রয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক নূর জাহান রুমি বলেন, দুইজনের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে, একজনকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে,অপর একজন আশংকাজনক হওয়ায় রাজশাহী রেফার্ড করা হয়েছে।