দামুড়হুদার গোবিন্দহুদায় জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জেরে নুরুল হক পেশকার গ্রুপ ও মাসুম বিল্লাহ মন্টু গ্রুপের মধ্যে রক্তাক্ত সংঘর্ষে মন্টু গ্রুপের ৩ জন গুরুতর আহত ও ১ জন নিহত হয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে গোবিন্দহুদা গ্রামের মাঠে বিরোধপূর্ণ জমিতে কাজ করার সময় এ মারামারির ঘটনা ঘটে।
নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবির।
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার গোবিন্দহুদা গ্রামে নুরুল হক পেশকার গ্রুপ ও মাসুম বিল্লাহ মন্টু গ্রুপের মধ্যে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে নুরুল হক পেশকার গ্রুপের লোকজনের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মন্টু গ্রুপের ৩ জন গুরুতর আহত ও ১ জন নিহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে নিজ গ্রাম গোবিন্দহুদার মাঠে নিজ নিজ জমিতে কাজ করার সময় এ ঘটনা ঘটে।
মাসুম বিল্লাহ মন্টু গ্রুপের নিহত ব্যক্তি হলেন গোবিন্দহুদা গ্রামের মৃত জড়ু মন্ডলের ছেলে জয়নুর (৫০)। আহতরা হলেন মৃত জড়ু মন্ডলের ছেলে খাজা আহমেদ (৫৭), জাহির (৫০) এবং খাজা আহমেদের ছেলে দিপু (১৬)।
সংবাদ পেয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর নেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৩০ বছর ধরে দুই গ্রুপের মধ্যে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ লেগে আছে। এ বিষয়ে আদালতে উভয় পক্ষের মামলা চলমান রয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে নিজ নিজ জমিতে কাজ করছিল সবাই। কাজ করার সময় বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে দুই গ্রুপের মধ্যে তুমুল রক্তাক্ত সংঘর্ষ বাঁধে। এরই একপর্যায়ে নুরুল হক গ্রুপের লোকজনের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মন্টু গ্রুপের ৪ জন আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মন্টু গ্রুপের জয়নুর মারা যান।
এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, সকালে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মারামারি হয়েছে। সংবাদ পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। জানতে পেরেছি, মারামারির ঘটনায় জয়নুর নামের একজন নিহত হয়েছেন। এখনো পর্যন্ত উভয় পক্ষের কারো কাছ থেকে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।