
দামুড়হুদার বাজার পাড়ায় পল্লী বিদ্যুৎ এর রিডিং ২০ ইউনিট বেশি লেখায় জনগণের রসানলে পড়ে পল্লী বিদ্যুতের মিটার রিডার কাম আশীষ কুমার সরকার। স্থানীয় জনগণ তাকে পুলিশে দেন। পরে দামুড়হুদা পল্লী বিদ্যুৎ এর ইনচার্জ এর জিম্মায় ছেড়ে দেন পুলিশ।
জানা যায়, দামুড়হুদা উপজেলা সদরে হেলাল উদ্দীনের ছেলে মনজুরুল কাদের যার মিটার নাম্বার (৯০৭/২৮০৪) প্রকৃতপক্ষে তার বিগত ৩৫৫ ইউনিট ছিল বর্তমান ৩৮৫ ইউনিট আছে। তার বিল হবে পূর্বের তুলনায় বেশি হবে ৩০ ইউনিট। ৩০ ইউনিট বিল না লিখে পল্লী বিদ্যুতের মিটার রিডার কাম আশীষ কুমার সরকার পূর্বের ৩৫৫ ইউনিট থেকে ৪০৫ ইউনিট দেখিয়ে ৫০ ইউনিট’র বিল লিখেছে। তখন বাড়ির মালিক মঞ্জুরুল কাদির বিল যাচাই করে দেখেন ২০ ইউনিট বেশি বিল লিখেছে।
এদিকে একই পাড়ার হুরু মন্ডলের ছেলেদের দীনু মন্ডল যার মিটার নাম্বার ৮৬৫/২৬১০ মিটারটি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পরও প্রতিমাসে বিল আসছে। এতে করে মোট বিল এসছে ২১৫৮ টাকা। এই ঘটনায় পল্লী বিদ্যুতের মিটার রিডার কাম আশীষ কুমার সরকারকে আটকে পুলিশে দেয় স্থানীয় জনগণ। এই ধরনের ঘটনা অনেকের সাথে ঘটেছে বলে স্থানীয় জনগণ জানিয়েছেন। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে কর্তৃপক্ষর সুদৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মনজুরুল কাদিরসহ এলাকাবাসিরা বলেন, আমাদের প্রতিনিয়ত বেশি বিল লিখে আমাদের সাথে প্রতারণা করা হচ্ছে। কেন এই প্রতারণা করা হচ্ছে তার সঠিক বিচার চাই। সেই সাথে এই ধরনের ঘটনা পুনরায় যদি ঘটে আমরা সাধারণ মানুষ আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবো। তাই গ্রাহকদের বিষয় বিবেচনা করে সতর্কতার সাথে বিল তৈরি করতে হবে এবং সাধারণ গ্রাহকরা যাতে হয়রানির স্বীকার না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে কাজ করার আহ্বান জানান তারা।