
দামুড়হুদা উপজেলার বদনপুর গ্রামে দীর্ঘ ২৫ বছর মামলা চালানোর পর আদালতের রায়ে ফিরে পেল নিজের পৈত্রিক ১১.৪৭ একর জমি।
গতকাল রবিবার সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা জজ কোর্টের অ্যাডভোকেট কমিশনার একলাছুর রহমান কাজল, অ্যাডভোকেট কমিশনার আব্দুল আল মামুন এরশাদ এজিপি, জজ কোর্টের নাজির নজরুল ইসলাম, জজ কোর্টের ওভায় প্রসেস সার্ভার হাসেম আলী আমজাদ হোসেন উপস্থিত থেকে জমিটি প্রকৃত মালিকের দখলে প্রদান করেন।
আদালতের রায়ের কপি থেকে জানা যায়, দামুড়হুদা উপজেলার পাঠাচোরা গ্রামের মৃত গোলাম হোসেনের ছেলে আলম বাক্স বাদী হয়ে একই গ্রামের মৃত দেহেত্র আলীর ছেলে আফসার আলীর বিরুদ্ধে ২০০২ সালে চুয়াডাঙ্গা সাব-জজ আদালত-১-এ বদনপুর মৌজার বিভিন্ন দাগ উল্লেখ করে ১৬.৬২ একর জমির মধ্যে ১১.৪৭ একর জমির পওনা মামলার জন্য মামলা দায়ের করেন (মামলা নম্বর: ১/২৩)।
দীর্ঘ ২৫ বছর মামলা চালানোর পর গত ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে আলম বাক্সের পক্ষে রায় দেন সাব-জজ আদালত-১ এর যুগ্ম জেলা জজ ইয়ারব হোসেন। পরে জমি দখলের জন্য জজ আদালতে আবেদন করলে আদালতের নির্দেশে জজ কোর্টের কমিশনার ও নাজির উপস্থিত থেকে ঢাকঢোল বাজিয়ে জমি প্রকৃত মালিক গোলাম হোসেনের ছেলে সালাউদ্দিন-কে বুঝিয়ে দেন।
ভুক্তভোগী সালাউদ্দিন বলেন, দীর্ঘ ২৫ বছর পর আমরা আমার বাবার জমি ফেরত পেয়েছি। বাবার জীবদ্দশায় তিনি জমি দেখতে পারেননি, এটাই আমাদের আফসোস। দীর্ঘদিন মামলা চালিয়ে মহামান্য আদালত আমাদের পক্ষে রায় দিয়েছেন। তাই আমি মনে করি আইন সবার জন্য সমান। আজ জমি ফিরে পেয়ে আমাদের চোখে আনন্দের অশ্রু চলে আসছে।
জজ আদালতের কমিশনার অ্যাডভোকেট একলাছুর রহমান কাজল বলেন, আমরা মহামান্য আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী প্রকৃত মালিকের জমি বুঝিয়ে দিতে এসেছি। এখানে কেউ কোনো বাধা প্রদান করেনি। আদালতের প্রতি সম্মান জানিয়ে আমরা কাজ করতে পেরেছি, এজন্য বিবাদীদের ধন্যবাদ জানাই। যদি বিবাদীদের কেউ কিছু বলার থাকে, তারা আদালতের মাধ্যমে দাবি করতে পারেন।


