দামুড়হুদর ধান্যঘরায় দুর্বৃত্তদের হাতে ফল ব্যবসায়ী হত্যা

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের ধান্যঘরা গ্রামে বাবর আলী (৪৫) নামে এক ফল ব্যবসায়ীকে গলা কেটে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

গত বৃহস্পতিবার (৮ জুন) দিনগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত বাবর আলী ধান্যঘরা গ্রামের আব্দুস ছাত্তারের ছেলে।এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্ত্রী মহিমা খাতুন কে দর্শনা থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।তবে এ ঘটনায় এখনও কোন মামলা হয়নি।

দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বাবর আলী প্রতিদিনের মতো এদিন রাতেও ঘরের বারান্দায় ঘুমিয়েছিলেন। এসময় দুর্বৃত্তরা বাড়িতে প্রবেশ করে তার গলায় কোপ দেয়। এতে বাবার আলী রক্তাক্ত জখম হয়। এসময় বাবর আলীর স্ত্রী চিৎকার করলে স্বজনরা দ্রুত ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেন এবং চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন । এই হত্যারহস্য উদঘাটনে পুলিশ কাজ শুরু করছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করা হবে বলে জানান ওসি।

তবে এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। মরদেহ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তর জন্য রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

নিহতের স্ত্রী মহিমা খাতুন জানান, একজনের কাছে লিচুর বিক্রির চার লাখ টাকা পাওনা ছিল বাবর আলীর। সন্ধ্যায় তিন ব্যক্তি বাড়িতে এসে বাবর আলীকে হুমকি দেয়। তারাই এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। পুলিশ তদন্ত করলেই অপরাধী শনাক্ত হবে

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আল ইমরান জুয়েল বলেন, মধ্যরাতে বাবর আলীকে হাসপাতালে আনা হয়। তার গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ মর্গে রাখা আছে।

হাসপাতেলর জুনিয়র সার্জারি কনসালট্যান্ট ডা. এহসানুল হক তন্ময় বলেন, বাবর আলীর গলায় কোপের আঘাত অনেক গভীর। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই তার মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে। এ হত্যার বিষয়ে দর্শনা থানার ওসি তদন্ত আমানউল্লা আমান বলেন আমরা তার স্ত্রী মহিমা খাতুনকে জিজ্ঞাসাবাদের নিয়ে এসেছি তবে খুব শীর্ঘই এই হত্যার মৃল রহস্য বেরিয়ে আসবে।