দামুড়হুদার লক্ষীপুর মাঠে ত্রি-ফসলি জমির মাটি কেটে বিক্রির অভিযোগ

দামুড়হুদা উপজেলার জুড়ানপুর ইউনিয়নের দলকা লক্ষীপুর গ্রামের মাঠে ফসলি জমির মাটি কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে সাবেক ছাত্রলীগনেতা আলি হোসেনের বিরুদ্ধে।
জুড়ানপুর ইউনিয়নের সাবেক ছাত্রলীগনেতা আলি হোসেন (৩২) দামুড়হুদা উপজেলার দলকা লক্ষীপুর গ্রামের সামসুল ইসলামের ছেলে।
সরজমিনে ও অভিযোগে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার জুড়ানপুর ইউনিয়নের দলকা লক্ষীপুর কালুপাড়ার রাস্তা সংলগ্ন মাঠে খননযন্ত্র (ভেকু মেশিন) দিয়ে ফসলি জমির মাটি কেটে বিক্রি করছে দলকা লক্ষীপুর গ্রামের আলি হোসেন। যার ফলে পাশ্ববর্তী জমির ভাঙ্গনসহ মাটির টপ সয়েল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলেও জানা যায়। আলি হোসেন ত্রি-ফসলি জমির মাঝ মাঠে পুকুর খননের অজুহাতে মাটি কেটে বিক্রি করে চলেছে।
তার এই পুকুর খননের অজুহাতে ঐ গ্রামের মাঠের অন্যান্য জমিগুলো হুমকির মুখে পড়ে যাচ্ছে। অন্যান্য জমির মালিকরা আলি হোসেনকে তাদের জমির সমস্যার কথা বললেও কোনো রকম কর্ণপাত না করেই চালিয়ে যাচ্ছে মাটি কাটার কাজ।
একদিকে যেমন ক্ষতি হচ্ছে ফসলি জমি অন্যদিকে ক্ষতি হচ্ছে ঐ গ্রামের রাস্তার। অদক্ষ চালকরা মাটি বোঝায় ট্রাক্টর নিয়ে বেপরোয়া গতিতে গ্রামের রাস্তায় চলাচলের ফলে সাধারণ মানুষসহ শিশুরা অনিরাপদ জীবনযাপন করছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে।
পাশ্ববর্তী জমির মালিকরা বলেন, আলি হোসেনকে আমরা কয়েকবার মাটি কাটতে নিষেধ করেছি। সে এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় আমরা তাকে বেশি জোর দিয়ে কিছু বলতে পারিনা। এভাবে ত্রি-ফসলি জমির মাটি অবৈধভাবে কেটে বিক্রি করলে পাশের জমি তো ভাঙবেই। সেই সাথে রাস্তাও হুমকির মুখে পড়ে যাবে। আর এভাবে মাটি কাটা হলে আমরা আমাদের জমি থেকে চাহিদা অনুযায়ী ফসল ফলাতে পারবো না ।
যখন আমরা চাহিদা অনুযায়ী ফসল ফলাতে
না পারবো তখন হয়ত খাদ্য ঘারতির মতো সমস্যায় পড়তে হতে পারে আমাদের। তাই
ত্রি-ফসলি জমি রক্ষাতে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তোভোগী জমি মালিক ও কৃষকরা।
দামুড়হুদার জুড়ানপুর ইউপি সদস্য তরিকুল ইসলাম বলেন, একাধিক কৃষকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমি বিষয়টি জানতে পেরে ঐ মাঠে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে চৌকিদার পাঠিয়েছিলাম। তারা সেখানে গিয়ে আলি হোসেনকে ত্রি-ফসলি জমি থেকে মাটি কাটতে নিষেধ করে আসে। কিন্তু আলি হোসেন দুষ্টু লোক হওয়ায় সে কারো কথার তোয়াক্কা না করেই মাটি কাটা অব্যাহত রেখেছে।
দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান বলেন, অবৈধভাবে ফসলি জমির মাটি কেটে বিক্রি করলে সে যেই হোক না কেনো তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।