দামুড়হুদায় জাফর ইকবালের কুপ্রস্তাবে ঘর ছাড়া গৃহবধু

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় জাফর ইকবালের কুপ্রস্তাবে নাজি না হওয়ায় ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছে এক গৃহবধু। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা চিফ জুডিশিয়াল কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়।
মামলা নং- সি আর ৫২০/১৯ ও পারিবারিক মামলা নং- ১১৩/১৯। মামলা সূত্রে জানা যায়, দুই বছর আগে সামাজিক ভাবে লিজার সাথে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার আন্দলবাড়িয়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে জীবন হাসানের সামাজিক ভাবে বিয়ে হয়।

বিেেয়র পর স্বামী প্রবাসী হওয়ার সুযোগে সুন্দরী লিজা খাতুনকে স্বামীর দুলাভাই জাফর ইকবাল যৌন হয়রানি সহ নানা ধরনের কুপ্রস্তাব দিতে থাকে। লিজা কু-প্রস্তাবে সাড়া না দিলে তাকে শারিরিক ও মানসিক ভাবে প্রতিনিয়ত নির্যাতন করতে থাকে।

এই বিষয়ে লিজা শ্বশুর আব্দুর রাজ্জাক কে নুনদায় এর অনৈতিক প্রস্তাবের ব্যাপারে জানালে শ্বশুর সহ পরিবারের লোকজন লিজাকে নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। সেই সাথে যৌতুক বাবদ মোটর সাইকেলের দাবি জানিয়ে লিজাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। এই অন্যায়ের প্রতিকার পেতে লিজা সহ তার মা-বাবা, ইউনিয়ন পরিষদ সহ বিভিন্ন মানবাধিকার অফিসে আবেদন জানায়।

কিন্তু কোন প্রতিকার না পেয়ে চুয়াডাঙ্গা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কোর্টে ও পারিবারিক আদালতে ২টি পৃথক পৃথক মামলা করে। এই বিষয়ে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান মানব উন্নয়ন কেন্দ্র মউক এর সালিস ইউনিট জানায় নির্যাতিত লিজা (২০) ১ মাস আগে অত্র প্রতিষ্ঠানের জাফর ইকবাল ও শ্বশুর আব্দুর রাজ্জাক, ননদ পপি খাতুন, শাশুড়ী নুরজাহান খাতুনকে বিবাদী করে অভিযোগ দায়ের করে।

এই বিষয়ে বিবাদীদের একাধিকবার নোটিশ প্রদান করলেও বিভিন্ন তাল বাহানা করতে থাকে। শেষ পর্যন্ত গত ২৩/০৯/১৯ইং তারিখে লিজার শ্বশুর আব্দুর রাজ্জাক ও ননদাই কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের এম এল এস এস জাফর ইকবাল উপস্থিত হয়ে সমস্যা সমাধানের জন্য এক সপ্তাহ সময় প্রার্থনা করে চলে যায়।

পরবর্তীতে বিবাদীদের যোগাযোগ করলে আব্দুর রাজ্জাক নিজেদের খুঁটির জোর দেখায় এবং প্রতারণ মূলক কথাবার্তা বলে। এ প্রেক্ষিতে সরেজমিনে মউকের সালিস বিভাগ তদন্ত করে জানতে পারে লিজার স্বামী বিদেশ থাকায়, নুনদাই জাফর ইকবাল সরকারী ছুটির দিন গুলিতে শ্বশুরালয়ে এসে যৌন হয়রানী/কুপ্রস্তাব দিয়ে চাপ দিতে থাকে এবং স্বামী ছাড়া করার ভয় দেখায়।

এই বিষয়ে শ্বশুর শাশুড়িকে অবহিত করে প্রতিকার পায়না বরং যৌতুক বাবদ মোটর সাইকেলের চাপ দিয়ে বাড়ি ছাড়া করার হুমকি দেয়। লিজা নিরুপায় হয়ে প্রবাসী স্বামীকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানালে স্বামী মোবাইলে ম্যাসেজ দিয়ে জানায়, পরিবারের কথা কাউকে জানালে তালাক দিব বলে হুমকি দেয়।

এ দিকে লিজার নুনদাই ও শ্বশুরের যৌতুক ও কুপ্রস্তাবের অত্যাচারে শ্বশুর হতে বাপের বাড়ি পালিয়ে আসে এবং ন্যায় বিচারের আশায় রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে। এই বিষয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে নিরাপত্তা সহ সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছে।

দামুড়হুদায় প্রতিনিধি: