দামুড়হুদায় 'জুলিও কুরি' শান্তি পদক উপলক্ষে আলোচনা সভা

দামুড়হুদায় ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক উপলক্ষে আলোচনা সভা

দামুড়হুদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর মুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ, র্যালী, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ  রবিবার সকাল ৯টায় দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা রুস্তম আলী, দামুড়হুদাৃ সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজল কুমার দাস, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মনিরুজ্জামান, সহকারী ব্যান বেইস অফিসার আব্দুল কাদির, সহকারী শিক্ষা অফিসার ছবির উদ্দিন, যুব উন্নয়ন অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হোসনে জাহান, প্রাণী সম্পদ সম্প্রসারণ অফিসার ডাক্তার রাকিব, দামুড়হুদা মডেল থানা তদন্ত ওসি শফিউল আলম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি সিরাজুল আলম ঝন্টু, দামুড়হুদা বাজার কমিটির সভাপতি মাকসুদুর রহমান রতন প্রমূখ।

সভায় সভাপতি দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা বলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি পদকপ্রাপ্তির ৫০তম বছর। ১৯৭৩ সালের বঙ্গবন্ধুর হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে এই পদক তুলে দেওয়া হয়। ১৯৭১ সালে এই অবিসংবাদিত নেতার নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। এর মাত্র দুই বছর পরে বিশ্বশান্তি পরিষদ আনুষ্ঠানিকভাবে বঙ্গবন্ধুকে ‘জুলিও কুরি’ পদকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রদান করে।

বিশ্বশান্তি পরিষদের প্রেসিডেন্সিয়াল কমিটির সভায় বিশ্বের ১৪০টি দেশের প্রায় ২০০ সদস্যের উপস্থিতিতে ও ঐকমত্যের ভিত্তিতে বঙ্গবন্ধুর জীবন দর্শন, আর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়কত্বের প্রেক্ষাপট বিবেচনায়, বঙ্গবন্ধুকে ‘জুলিও কুরি’ পদক প্রদান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্বশান্তি পরিষদ ১৯৭২ সালের ১০ অক্টোবর পদক প্রাপক হিসেবে বঙ্গবন্ধুর নাম ঘোষণা করেন। পরের বছর ১৯৭৩ সালের ২৩ মে, এশীয় শান্তি সম্মেলনের এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে সেই পদক বঙ্গবন্ধুকে পরিয়ে দেন পরিষদের ততকালীন সেক্রেটারি জেনারেল রমেশচন্দ্র। সেই অনুষ্ঠানে রমেশচন্দ্র বলেছিলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলার নন, তিনি বিশ্বের এবং তিনি বিশ্ববন্ধু। স্বাধীন বাংলাদেশে কোনো রাষ্ট্রনেতার এটিই ছিল প্রথম আন্তর্জাতিক পদক লাভ।

অনুষ্ঠান শেষে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে চিত্রাঙ্কন ও কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।