দামুড়হুদায় টাকার বিনিময়ে ৪ মাদকসেবীকে ছেড়ে দিলেন এ এস আই বিপ্লব

দামুড়হুদায় টাকার বিনিময়ে ৪ মাদকসেবীকে ছেড়ে দিলেন এ এস আই বিপ্লব

যেখানে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশ মদকের বিষয়ে কোন ছাড় নেই সেখানে দামুড়হুদা মডেল থানার এ এস আই বিপ্লব শাহা এত সাহস পেলো কোথায়। দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর চৌধুরী পাড়ায় কয়একজন মিলে গাঁজা সেবন করছিল।

এমন সময় দামুড়হুদা মডেল থানার এএস আই বিপ্লব সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ৪ জনকে আটক করেন। পরে স্থানীয় এক নেতার সহযোগিতায় মোটা অংকের বিনিময়ে তাদেরকে ছেড়ে দেন। গত রবিবার রাত ৮ টার দিকে জয়রামপুর চৌধুরী পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসী সূত্র থেকে জানাযায়, দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর চৌধুরী পাড়ার শাহাবুদ্দিনের ছেলে সামাদ,আশাদুলের ছেলে মোস্তফা, মহিউদ্দিনের ছেলে মিলন ও পারকৃষ্টপুর গ্রামের শাওনসহ ৭/৮ জন জয়রামপুর চৌধুরী পাড়ার জৈনেক মহুরার বাগানে বসে গাঁজা সেবন করছিল। এমন সময় দামুড়হুদা মডেল থানার এ এস আই বিপ্লব শাহা সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে তাদেকে আটক করেন। পরে তাদেরকে নিয়ে আসা হয় চৌধুরী পাড়ায়। তাদেরকে ধরেছে এমন খবর পেয়ে এলকার দরুদি নেতা পল্লি চিকিৎসক শফি উদ্দীন বসে যায় পুলিশের সাথে দেনদরবারে। জনপ্রকাশে দেনদরবার করে মোটা অংকের বিনিময়ে সামাদের নিকট ৮ হাজার, শাওনের নিকট ৮ হাজার ,মিলনের নিকট ৫ হাজার ও মোস্তফার নিকট ৫ হাজার মোট ২৬ হাজার টাকা নিয়ে ছেড়ে দেন দামুড়হুদা মডেল থানার এ এস আই বিপ্লব শাহা। এমন মাদক সেবিদের ছেড়ে দেওয়ার খবর সংগে সংগে ছড়িয়ে পড়ে এলাকার মধ্যে।

এলাকাবাসীর অভিমত চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান পিপিএম সেবা মাদকের সাথে আপোষ না করার নির্দেশ দিয়েছেন সেখানে অর্থের লোভে এ এস আই বিপ্লব শাহা তাদের ছেড়ে দিয়ে পুলিশের মানক্ষুণ করেছেন।

এক ভুক্তভোগী মাদকসেবি বলেন, এবার ঈদে আমি বাজার করতে পারিনি শখের বসে একটান গাঁজা সেবন করতে গিয়ে গুনতে হলো হাজার হাজার টাকা।আমার বাবা মা ধার করে টাকা দিয়েছে। এর চেয়ে ভালো হতো আমাকে মারধর করে কোটে চালান দিলে। টাকা তো লাগতো না।

এ এস আই বিপ্লব শাহাকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন বিষয়টি ওসি স্যার জানে অতএব ফোনে কথা না বলে সরাসরি কথা বলতে চাই। পরে তিনি আর সরাসরি কথা বলেনি।

দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আলমগীর কবির বলেন, আমি এ এস আই বিপ্লব শাহার এ বিষয়ে জিজ্ঞাগা করলে সে অস্বীকার করে। যদি টাকা নিয়ে থাকে তাদেরকে অভিযোগ করতে বলেন।প্রমান মিললে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, আর প্রমান না হলে বিষয়টি খারাপ হবে।