দামুড়হুদায় তেঁতুল শেখের নেতৃত্বে চলছে রমরমা জুয়ার আসর

দামুড়হুদা উপজেলার হাউলি ইউনিয়নে করোনা মহামারি উপেক্ষা করে খোকন-তেঁতুল শেখের নেতৃত্বে চলছে রমরমা জুয়ার আসর। জুয়া সহ আসরে চলছে মাদকদ্রব্য বিক্রয় সহ সেবন।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরোজমিনী গিয়ে স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে খোকন- তেঁতুল শেখ সহ তাদের নেতৃত্বে শতাধিক সক্রিয় সদস্যের মাধ্যমে বেশ কিছু দিন ধরে হাউলি ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন, ডুগডুগি পশু হাটের বটতলা শান সহ বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে জেলা ও জেলার বাইরে থেকে আসা জুয়ারিদের আনাগোনা লক্ষ্য করা যায়।
এসময়ে সিন্ডিকেট সদস্যের মাধ্যমে জুয়ার আসরের স্থান নির্ধারণ হলে জুয়া নেতৃত্ব দানকারী খোকন ও তেঁতুল শেখের মাধ্যমে তাদের পৃর্ব পরিচিত পাখি ভ্যানে করে ৪ জন জুয়ারি কাদিপুর মাঠের দিকে চলে যান এর পর আর একটি ভ্যানে প্রায় ৬ জন যুবক জুয়ারিরাও আগে জুয়ারিদের নিকট অবস্থান নেওয়ার জন্য ছুটে যান।
এরপর তাদের সিন্ডিকেট সদস্যদের মধ্যে সাংবাদিকদের অবস্থান বুঝতে পেরে অবস্থান রত জুয়ারিরা সু-কৌশলে একে একে অবস্থান পরিবর্তন করতে লক্ষ্য করা গেছে।
এসময় স্থানীয় বেশ ক’একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রকাশ্যে দিনের আলোতে জুয়া খেলার একাধিক সিন্ডিকেট ও লাইনম্যানদের সু-কৌশলে চলছে খোকন-তেতুলের নেতৃত্বে চলছে জুয়া ও মাদকদ্রব্য মদ-গাঁজার রমরমা আসর। খেলতে আসা জুয়ারিদের মধ্যে ৫-৬ টি গ্রুপ করে শুরু হয় খেলা।
এক একটি গ্রুপে প্রায় ৫০ হাজার থেকে লক্ষাধিক টাকার পরিমাণ জুয়া খেলা হয়ে থাকেন। জুয়া খেলা ও নেশার টানে জুয়রিরা এসে থাকেন চুয়াডাঙ্গা জেলা ও জেলার বাইরে থেকে।
জুয়ারিরা মাঠে ডুকে খেলা শুরু করার আগ মূহুর্ত থেকে রাস্তার মোড়ে মোড়ে অবস্থান রত সক্রিয় নিজস্ব সোর্সের নিকট সবুজ সংকেত দেওয়ার পর শুরু করা হয় খেলা। খেলা শুরু হওয়ার প্রায় ৫ কিঃ মিঃ আগে থেকেই জুয়ারি বা প্লেয়ারদের নিরাপত্তার জন্য থাকেন জুয়া সিন্ডিকেট চক্রের একাধিক সদস্য।
অনুসন্ধানের মাধ্যমে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের নজর এড়িয়ে দামুড়হুদা উপজেলার হাউলি ইউনিয়নের তারিনিপুর, ডুগডুগি, দুধপাতিলা, কাদিপুর, সহ বিভিন্ন স্থান পরিবর্তন করে চুয়াডাঙ্গার খোকন ও ডুগডুগি’র তেঁতুল শেখের নেতৃত্বে চলে আসছে জুয়ার এ রমরমা আসর।
আসরে প্রতিদিনই প্রায় লক্ষ লক্ষ টাকার জুয়া খেলা করে থাকেন জুয়ারিরা। খেলতে আসা অনেকেই জিতে কামিয়ে নিচ্ছেন লক্ষ টাকা আবার কেউ কেউ সোনা, মটর সাইকেল, বাইসাইকেল, জমি সহ বিভিন্ন মুল্যবান জিনিসপত্র বেচা-কেনা করে সর্বত্র হারিয়ে খালি পকটে ফিরে যাচ্ছেন বাড়িতে।
সচেতন মহল বলছেন, জুয়া একটা সামাজিক ব্যাধি, জুয়া ও মাদকের সাথে যারা জড়িত তাদের আইনের মাধ্যমে কঠোর শাস্তির আওতায় আনা উচিত।
দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ এর আগে ডুগডুগি জুয়ার আসরে হানা দিলে জুয়া সিন্ডিকেটর সদস্য সহ জুয়ারিরা পালিয়ে যায়। উপজেলা সদরে জুয়া খেলার আসর চলা খুবই দুঃখ জনক।
জুয়া সিন্ডিকেট নেতৃত্বদানকারী খোকনের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান, আমরা লুকোচুরি করে চালাচ্ছি। এখনো খেলা তেমন ভাবে শুরু করা হয়নি। খেলা শুরু হলে আপনাদের সাথে যোগাযোগ করবো।
হাউলি ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিনের মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন দিলে তার ফোনটি রিসিভ করা হয়নি।
দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আঃ খালেকের সাথে কথা বললে তিনি মেহেরপুর প্রতিদিন কে জানান, আমরা বিষয়টি অবগত হবার পর একাধিক বার পুলিশের অভিযান চালিয়ে ছি এই অভিযান অব্যাহত থাকবে