দামুড়হুদায় বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে মোটরসাইকেল চালকের মৃত্যু

দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনায় বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে কামরুল ইসলাম (৪০) নামে এক মোটরসাইকেল চালকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে দর্শনা বাসস্ট্যান্ডের সন্নিকটে তেতুলতলায় এদূর্ঘটনা ঘটে। এসময় অপর মোটরসাইকেল চালক নেন্টু মিয়া (৫০) গুরুতর জখম হয়। তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে দর্শনা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ঘাতক বাসটি জব্দ করে থানায় নেই। এসময় বাসের চালক ও সহকারী পালিয়ে যায়।

নিহত কামরুল ইসলাম যশোর শহরের নাজির শংকরপুর এলাকার ছাদেক দারোগার মোড়ের নওসের আলীর ছেলে। আহত নেন্টু মিয়া চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার মদনা গ্রামের পশ্চিমপাড়ার আততাব আলীর ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুটি মোটরসাইকেলযোগে কামরুল ইসলাম ও নেন্টু মিয়া চুয়াডাঙ্গার দিকে আসছিল। দর্শনা বাসস্ট্যান্ডের সন্নিকটে তেতুলতলায় পৌছানে পাশাপাশি হওয়ায় দুই মোটরসাইকেলে ধাক্কা লাগে। এতে কামরুল ইসলাম পাকা উপর ছিটকে পড়ে যায়। এসময় জীবননগর থেকে ছেড়ে আসা চুয়াডাঙ্গাগামী শাপলা পরিবহনের ‘এমকে দোয়েল’ (ঢাকা মেট্রো-ব- ১৪-১৯৫০) নামে একটি বাসের চাকায় পিষ্ট হয় কামরুল ইসলাম। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। এ সময় আহত হয় অপর মোটরসাইকেল চালক নেন্টু মিয়া। স্থানীয়রা নেন্টুকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠায়।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সোহরাব হোসেন মেহেরপুর প্রতিদিনকে বলেন, আহত নেন্টু মিয়ার অবস্থা শঙ্কামুক্ত। তার শরীরে সামান্য জখমের চিহৃ আছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ভর্তির পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএইচএম লুৎফুল কবীর মেহেরপুর প্রতিদিনকে বলেন, দুই মোটরসাইকেলের ধাক্কায় চালক কামরুল ইসলাম পড়ে যায়। এসময় যাত্রীবাহী বাসে চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থানেই তার মৃত্যু হয়। আহত হয় অপর মোটরসাইকেল চালক নেন্টু মিয়া। বাসের চালক ও সহকারী পলাতক থাকলেও পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বাসটি আটক করে থানায় নিয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।