দামুড়হুদায় ভৈরব নদী ও কৃষি জমির মাটি উত্তোলন করে বিক্রি:নিরব প্রশাসন

দামুড়হুদায় ভৈরব নদী ও কৃষি জমির মাটি উত্তোলন করে বিক্রি:নিরব প্রশাসন

দামুড়হুদায় প্রকাশ্যে কৃষি জমি-ভৈরব নদীর মাটি উত্তোলন করে বিক্রি করছে চিহ্নিত ভূমিদস্যুরা। অবৈধভাবে ভৈরব নদী ও কৃষি জমির মাটি উত্তোলন করেও তারা রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। ভূমিদস্যুরা অবৈধ পন্থায় মাটি উত্তোলন করলেও প্রশাসন রয়েছে নিরব।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা যায়, দামুড়হুদা উপজেলার সদর ইউনিয়নের পাঠাচোরা গ্রামের ভৈরব নদীর তীরবর্ত্তী স্থান থেকে অদৃশ্য কারণে প্রতিদিন ভেকু মেশিনের সাহায্যে ১৫ টি অবৈধ ট্রাক্টর যোগে মাটি কেটে উপজেলার বিভিন্ন অবৈধ ইটের ভাঁটায় বিক্রি করছেন ভূমিদস্যু সিন্ডিকেটের সক্রিয় সদস্যরা। তবে পাঠাচোরা থেকে কে বা কাহারা ভৈরবের মাটি চুরি করে বিক্রি করছেন এমন তথ্য স্থানীয়রা সঠিক ভাবে না জানালেও তারা জানান উপজেলার সদর ইউনিয়নের বদনপুর ও নাপিতখালী গ্রামের দুইজন এ কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রয়েছেন।

ঘটনাস্থলে দেখা যায় চুরি করা ভৈরব নদীর পাড় থেকে মাটি ট্রাক্টরে নেওয়ার জন্য সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় বেশকিছু ট্রাক্টর। আর এ সকল ট্রাক্টরগুলোতে মাটি ভর্তি করে দিতে সাহায্য করছেন ভেকু মেশিন নামক দানব যন্ত্রটি। যন্ত্রটি একে একে ট্রাকগুলোতে মাটি ভরাট করে দিচ্ছে, মাটি ভরা শেষ হলেই ঘটনাস্থল থেকে অবৈধ ট্রাক্টরগুলো ছুটছে গন্তব্য স্থানে। আর এভাবেই উল্লেখিত স্থান থেকে প্রতিনিয়তই সকাল ৬ টা থেকে চলছে মাটি চুরি করে বিক্রি’র উৎসব।

সচেতন মহল বলছেন, ভৈরব নদী খনন কাজের মাটি দিয়ে নদীর পাড় না বেধে তা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ভূমিদস্যুরা চুরি করে নিজের ব্যাক্তিগত সম্পত্তির মতো করে অবাধে বিক্রি করে আসছেন। মাটি গুলো রাতের আঁধার কিংবা দিনের আলোতে প্রকাশ্যে বিক্রি করছেন ইটের ভাঁটাতে। আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে সংশ্লিষ্টারা দেখেও না দেখার ভান করছন, এটি খুবই দুঃখজনক। তাঁরা আরও জানান, এতে করে নদী পাড়ের কৃষি জমি ভাঙ্গন সহ আশপাশের রাস্তা ও বাড়ি ঝুঁকিতে থাকবেন। ফলে দ্রুত ভৈরব নদীর মাটি চুরি বন্ধে প্রশাসন কঠোর হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো: আব্দুল আলিমের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, এ বিষয়ে আমি তেমন কিছু জানিনা। আর বিশেষ করে ভূমিদস্যুদের সাথে আমি কোন সম্পর্ক রাখিনা।

চুয়াডাঙ্গা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফ আহমেদ বলেন, ভৈরব নদ খননের উদ্বৃত্ত মাটি উত্তোলন বা বিক্রি করতে কাউকে অনুমোদন/ইজারা দেয়া হয়নি। যদি কেউ তা বলে থাকে তবে মিথ্যা বলেছে। আর যারা মাটি উত্তোলন করছে তারা অবৈধ পন্থা অবলম্বন করছে। তিনি আরো বলেন, যদি ভৈরব নদ খননের উদ্বৃত্ত মাটির কারণে জণগণের চলাচলের রাস্তায় বিঘ্ন ঘটে তাহলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) স্টিমেট করে ইজারা দিতে পারেন। তবে এখন পর্যন্ত দামুড়হুদা উপজেলায় কাউকে ইজারা দেয়া হয়নি।

দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোকসানা মিতা বলেন, বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডের। পানি উন্নয়ন বোর্ড কোনো প্রকার ইজারা দিয়েছেন কিনা আমার জানা নেই।