দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওয়ার্ডবয়ের বিরুদ্ধে উৎকোচ নেওয়ার অভিযোগ

দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওয়ার্ডবয়ের বিরুদ্ধে উৎকোচ নেওয়ার অভিযোগ

দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবার মান একেবারেই তলানিতে ঠেকেছে। জরুরী বিভাগের ওয়ার্ডবয় মাসুমবিল্লাহ বিরুদ্ধে দীর্ঘদিনের অভিযোগ সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষের কাজের বিনিময়ে টাকা না নিয়ে কাজ না করার অভিযোগ উঠেছে।

গতকাল বুধবার বেলা ১১ টার দিকে জরুরি বিভাগে কর্মরত ওয়ার্ডবয় পাখি ভ্যান চালকের এক সেলাই দিয়ে ৩শ টাকা নেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক মেডিকেল অফিসার ডাঃ তাসমিয়া খাতুনের সামনেই স্বীকার করেন বলেন আমাকে ৩ শত টাকা বকশিস দিয়েছেন।

জানাযায়, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সাংসদ সদস্য হাজি আলি আজগার টগর উপজেলার সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কোন কিছু ঘাটতি রাখেননি। তার এই সুনাম নষ্ট করার জন্য বিভিন্ন সময় সুনামধন্য সেবা প্রতিষ্ঠানে সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ এতে সাধারণ মানুষের জনমনে চাপা ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় দামুড়হুদা উপজেলার ফুলবাড়িয়া গ্রামের নজীর আহাম্মদের ছেলে পাখি ভ্যান চালক শফিকুল ইসলাম ডান হাতের আঙ্গুলে ইনফেকশন হওয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগে গিয়ে কতব্যরত ওয়ার্ডবয় মাসুমবিল্লার সরাপর্ন্য হয়।পরে মাসুমবিল্লা একটা সিলায় দিতে ৪ শত টাকা দাবি করেন। বলেন ৪ শত টাকা না দিলে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চলে যান। ভুক্তভোগী শফিকুল ইসলাম দিশেবিষে না পেয়ে ৩ শত টাকা দিয়ে হাতের ক্ষত স্থানে সেলায় দিয়ে নেন।

উল্লেখ্য থাকে দামুড়হুদা উপজেলার উজিরপুর গ্রামের মাসুমবিল্লাহ দীর্ঘ ১০ বছর ধরে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কাজ করে আসছে।সে এ কাজ করার সুবাধে টাকা ছাড়া কোন কাজ সে করে না। একটা সরকারি সেবা মুলক প্রতিষ্ঠানে সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষের নিকট টাকা দাবি করা কোনভাবেই বধ্যগম্য নাই এলাকাবাসীর মন্তব্য।

দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগে কতব্যরত চিকিৎসক মেডিকেল অফিসার ডাঃ তাসমিয়া খাতুন এমন অভিযোগ পেয়ে মাসুমবিল্লাহকে সাংবাদিকদের সামনে জিগ্যেসা করলে অপকটে স্বাীকার করে বলেন রোগি আমাকে ৩ শত টাকা বকশিস দিয়েছেন। এটা শুনে তিনি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।

পাখি ভ্যান চালক শফিকুল ইসলাম বলেন, আমি একজন গরীব মানুষ টাকা না থাকায় সরকারি হাসপাতালে আসি। এখানে এসে আরো বিপদ টাকা ছাড়া কাজ হলো না। আমার হাতে সেলাই দিতে ৪ শত টাকা দাবি করলে আমি ওয়ার্ডবয়কে ৩ শত টাকা দিই। এ কেমন সরকারি হাসপাতাল। এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকতা হেলেনা আক্তার নিপা টেনিংয়ে থাকা অবস্থায় তার নিকট বার বার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা বলেন, ভুক্তভোগী লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করলে ওয়ার্ডবয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।