দামুড়হুদা উপজেলা ৭০০ জনের মাঝে খাদ্যসহায়তা বিতরণ করেন উপজেলা প্রশাসন

দামুড়হুদা উপজেলা ৭০০ জনের মধ্যে খাদ্য সহায়তা বিতরণ করলেন উপজেলা প্রশাসন। দামুড়হুদায় শেখ রাসেল মিনি ষ্টেডিয়াম মাঠে  সোমবার বেলা ১১টার সময় ও বেলা ১ টার সময় দর্শনা পৌর এলাকায় ৫০০ জন এবং দামুড়হুদা সদরের দলিত সম্প্রদায়ের মাঝে ২০০ জন ব্যক্তিকে সরকারী খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়।

দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসন, দামুড়হুদার পক্ষ হতে দর্শনা পৌরসভায় ৫০০ জন এবং দামুড়হুদা সদরে দলিত সম্প্রদায়ের মাঝে ২০০ জন ব্যক্তিকে সরকারী খাদ্য সহায়তা প্রদানের সময় করোনা প্রতিরোধ ও লকডাউন বাস্তবায়ন সহ খাদ্য সহায়তা বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান বলেন, দর্শনা পৌরসভা এলাকায় অসংখ্য মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষের বসবাস।

মধ্যবিত্ত জীবন হচ্ছে সেই জীবন যেখানে না খেয়ে থেকেও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকার উদাত্ত আহ্বানে হৃদয় পোড়ার গন্ধটাকে ঢাকা হয় পরম স্নেহে। যেখানে প্রবল আত্নসম্মান বোধের কাছে হার মেনে যায় অনেক অভাব, অপ্রাপ্তি আর অসহায়ত্ব। এই গর্বিত মধ্যবিত্ত পরিবারকে গুরুত্ব দিয়ে তৈরী করা হয়েছে আজকের তালিকা। একজন অটোচালক বা চা দোকানদার সহজেই তাদের কষ্টের কথা বলতে পারেন কিন্তু অনেক মধ্যবিত্ত শ্রেণীর ব্যবসায়ী আছেন যাদের লকডাউনে ব্যবসায়ীক জীবন স্থবির হয়ে পড়েছে কিন্তু তার সংকটের কথা বলতে পারেন না কাউকে। করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত এসব পরিবারের কাছে সরকারী খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়া আমাদের দায়িত্ব।

সমাজের কোন শ্রেণীর মানুষ যেন সরকারী সুবিধা হতে বঞ্চিত না হয় সে বিষয়ে আমরা সদা তৎপর। মান্যবর জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দেশ লকডাউনে মানুষ যেন খাদ্য সংকটে না থাকে। স্যারের নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের এ প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় ও অঙ্গীকারের শ্লোগানকে আমাদের চলার পথের আর্শীবাদ মনে করি। আমরা মহামারী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করে চলেছি, মানুষকে সচেতন করতে, স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে মাইকিং সহ সামাজিক সচেতনতামূলক সকল প্রচার এবং আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগের সকলে গ্রামে গ্রামে ক্যাম্পিং এর মাধ্যমে করোনার নমুনা সংগ্রহ করে করোনা সনাক্তে কাজ করে চলেছেন।

পুলিশ সহ আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিন সকলেই কঠোর ভূমিকা পালন করছে। তাদেরও কাটছে নির্ঘুম রাত। দর্শনা পৌর মেয়র সহ সকল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নিরলস ভাবে কাজ করে চলেছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের ভূমিকাও প্রশংসনীয়।