দামুড়হুদা কার্পাসডাঙ্গা বাজারে জোরপূর্বক দোকান দখলের অভিযোগ

দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা বাজারে জোরপূর্বক দোকান ঘর দখল, চেয়ার টেবিল ভাংচুর সহ দোকানের মালামাল ফেলে দেবার অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, কার্পাসডাঙ্গা বাজারে মৎস আড়ৎ এলাকায় মৃত হাফিজ মালিথার ছেলে বিএনপি নেতা আকবত আলী মালিথার সাইকেলের দোকান রয়েছে। যার দোকান নং ৯৩/১। আকবত আলীর দুইটি স্ত্রী। দুই সংসারে তার ৪ ছেলে ও ৩ মেয়ে। দুই পক্ষেরই দুটি করে ছেলে রয়েছে। আকবত আলীর দোকানের ডানদিকে তার মেজো ছেলের দোকান ও তার বামদিকে ৯৩/২ নং দোকানটি তার আরেক ছেলে আফছার আলী। আফছার আলী এই দোকানটিতে দীর্ঘ বছর ধরে মাছুম সু স্টোর নামে জুতা সেন্ডেলের ব্যাবসা করে আসছেন।

বৃহস্পতিবার তার বাবা আকবত আলী ও তার মেজো ছেলে আনছার আলী হঠাৎ করে আফসার আলীর দোকানের পার্টিশন ভেঙ্গে তা দখল করে নেন। সেই সাথে আফছার আলীর দোকানের চেয়ার টেবিল ভাংচুর সহ দোকানের মালামাল ফেলে দেন।

আফছার আলী জানান তার বাবার দুইটা বিয়ে। দুই সংসারে তারা ৪ ভাই ৩ বোন।তিনি তাকে সহ আরেক ভাইকেও দোকানের পজিশন বুঝে দেন।সেই সাথে তিনি নিজের জন্যও একটি বড় দোকান রেখে দেন।দোকান গুলি

৪ ভাই এর নামে লিখে দেবার কথা।আমি বলেছি প্রয়োজনে আপনি সব দোকান একা নেন কিন্তু সকল ভাই এর নামে সমবন্টন করে দেন। যাতে ভবিষ্যতে সকলে এখানে অধিকার পাই। কিন্তু এখন তিনি চক্রান্ত করে তাকে ফাঁকি দেবার উদ্দশ্য বাকি ৩ ছেলেকে দেবেন বলে হঠাৎ করে আজ দোকানের পার্টিশন ভেঙ্গে তা জোরপূর্বক দখল করে নিয়েছেন ও চেয়ার টেবিল ভাংচুর সহ দোকানের মালামাল ফেলে দিয়েছেন।যাতে করে তার প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে।

তিনি আরো জানান তিনি দীর্ঘদিন ধরে সংসারে হাল ধরে আছেন । পিতা মাতা সহ ভাই বোনদের দেখা শোনা করে আসছেন,তাদের ওষুধপত্র সব কিনে দেন।তারপরও ১৫ ফুট চওড়া ২৮ ফুট লম্বা এ দোকানগুলোর মধ্য ইতিমধ্যই মেজো ছেলে আনছার ১০ ফুট দখল করে ব্যাবসা করছে আসছে একবার ব্যাবসার ৬০ হাজার টাকা নিয়ে বরিশাল পালিয়ে যায়।ভাই বোন কারো দেখাশোনা করেনা।বরং সে বাড়ি এসে দোকান দখল সহ তাকে প্রতিনিয়ত হুমকি ধামকি দিচ্ছে।এ বিষয়ে আফছার কার্পাসডাঙ্গা বাজার দোকান মালিক সমিতিতে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে তার পিতা আকবত আলী মালিথার সাথে কথা বললে তিনি দোকান নিয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি।