দুই অসহায়ের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন কালীগঞ্জের মেয়র

চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছিলেন এক আওয়ামী লীগ কর্মী। খবর পেয়ে চিকিৎসার খরচের ব্যবস্থা করেন কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফ।

উপজেলার ফয়লা গ্রামের অসুস্থ শরিফুল ইসলাম পেশায় ছিলেন কলারম্যান। ক’দিন আগেই স্ট্রোক করে প্যারালাইজড হয়ে পড়ে আছেন। কাজকর্ম কিছুই করতে পারেন না। তার চিকিৎসার জন্য নগদ ১০ হাজার টাকা প্রদান করেন মেয়র আশরাফ। এছাড়াও চিকিৎসার জন্য যাবতীয় খরচ তিনি বহন করবেন বলেও জানান।

এদিকে, মেয়ের চিকিৎসার খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন ভ্যানচালক বাবা। চিকিৎসার জন্য নিজের ভ্যানটাও বিক্রি করে দিয়েছেন। শেষে মানুষের কাছে হাত পেতে ওষুধ কিনতে হচ্ছে। কিন্তু একমাত্র মেয়ে রুম্পার চিকিৎসা নিয়ে হতাশায় ভুগছিলেন বাবা আনোয়ার হোসেন।

এসব ঘটনা শুনে কালীগঞ্জ উপজেলা বাকুলিয়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের একমাত্র মেয়ে রুম্পার চিকিৎসার জন্য পাশে দাঁড়িয়েছেন কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফ।

রুম্পার চিকিৎসার জন্য নগদ ১০ হাজার টাকা ও ঢাকায় পাঠানোর জন্য এ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করেছেন। এছাড়াও রুম্পার চিকিৎসার জন্য তিনি সবসময় পাশে থাকবেন বলে জানিয়েছেন।

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের বাকুলিয়া গ্রামের ভ্যানচালক আনোয়ার হোসেনের একমাত্র মেয়ে রুম্পা (১১)। শ্রীরামপুর সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী।

চিকিৎসকরা জানান, রুম্পার ডিম্বাশয়ে টিউমার। দ্রুত অপরাশেন না করালে রুম্পাকে বাঁচানো সম্ভব হবে না। অপারেশনে খরচ হবে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা। টিউমার যত বড় হবে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে। ইতোমধ্যে রুম্পার একটা পা পঙ্গু হয়ে গেছে।

রুম্পার বাবা আনোয়ার হোসেন জানান, একমাত্র মেয়ের চিকিৎসা করাতে গিয়ে আয়ের শেষ সম্বল ভ্যানটাও বিক্রি করে দিয়েছেন। এখন রাজ মিস্ত্রির যোগালের কাজ করেন। এখান থেকে যা আয় হয় সেটা দিয়েই সংসার খরচ ও মেয়ের চিকিৎসায় খরচ করেন।

কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফ জানান, শিশু রুম্পার জন্য তিনি নগদ ১০ হাজার টাকা ও ঢাকায় চিকিৎসার জন্য এ্যাম্বুলেন্সে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছেন।

এছাড়াও রুম্পার অপারেশনে সবসময় তিনি পাশে থাকবেন। অসুস্থ আওয়ামী লীগ কর্মী শরিফুল ইসলামকে চিকিৎসার জন্য নগদ টাকা ও যাবতীয় খরচ তিনি বহন করবেন।