"দূর্বৃত্তায়ন, অন্যায়, অনিয়ম বরদাস্ত করা হবেনা"--জনপ্রশাসন মন্ত্রী

“দূর্বৃত্তায়ন, অন্যায়, অনিয়ম বরদাস্ত করা হবেনা”–জনপ্রশাসন মন্ত্রী

জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি বলেন, কোনো দূর্বৃত্তায়ন, অন্যায়, অনিয়ম বরদাস্ত করা হবেনা। অপরাধীদের কোনো দল নাই। তারা অপরাধী। নিজ জেলায় সংবর্ধিত হয়ে এসব কথা বলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি।

আজ শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকালে মেহেরপুর শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ড শেখপাড়াতে আওয়ামী লীগ ও শেখপাড়া ভোরের ছোঁয়া যুব সংঘ নামের একটি সংঘনের উদ্যোগে জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনকে সংবর্ধনা দেয়া হয়।

৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকত হোসেনের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংবর্ধিত মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি।

এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম শাহিন, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইকবাল হোসেন বুলবুল, বড় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম খোকন।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ভোরের ছোঁয়া যুব সংঘের সাধারণ সম্পাদক ফাহাদ খান।এর আগে জনপ্রসাশন মন্ত্রী ফারহাদ হোসেনকে ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও ভোরের ছোঁয়া যুব সংঘের পক্ষ থেকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

ভোটারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে প্রধান অতিথি জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি বলেন, মানুষ অন্যায়, অনিয়ম, দুর্বৃত্তের বিরুদ্ধে এবং শান্তি ও উন্নয়নের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। মানুষের দু:খ দূর্দশা লাঘবে পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডের মানুষের মাঝে গিয়ে তাদের কথা শুনা হবে। মানুষের কথাগুলো শুনে, তাদের চাহিদাগুলো চিহ্নিত করে পৌরবাসির উন্নয়ন কাজ করা হবে।

মেহেরপুর পৌর এলাকার রাস্তা ঘাট, ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও মশার উপদ্রুব বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, মেহেরপুর পৌর এলাকার সকল কাজ এখন থেকে বুঝে নেওয়া হবে। উন্নয়ন কাজের কোনো দুর্ণিতী অনিয়ম সহ্য করা হবেনা। কাজ সুষ্ঠু নাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্ত্রী বলেন, উন্নয়ন সুনিশ্চিত করতে মানুষ ভোটের মাধ্যমে আমাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়েছেন। তাই এখন থেকে কি ছিলো আর কি ছিলোনা এটা ভাবার সময় নেই। জেলার সকল উন্নয়ন করা হবে।

এখন থেকে মেহেরপুর জেলাকে বাংলাদেশের মধ্যে উন্নত জনপদ হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করা হবে।

আগামি পাঁচ বছরে আমাদের ও আমাদের সন্তানদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সময় উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, আগামি পাঁচ বছরে মেহেরপুর জেলাকে নিয়ে মহাপরিকল্পনা করা হয়েছে। ব্যাপক উন্নয়ন হবে এই জেলায়।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেহেরপুর জেলাবাসিকে অনেক সম্মান দিয়েছেন।

মন্ত্রী বলেন, মেহেরপুর জেলা বাংলাদেশের ছোট্ট জেলা হলেও এই জেলার ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সূতিকাগার ও বাংলাদেশের প্রথম রাজধানী। তাই এখানে রাজাকারের সন্তান ও রাজাকারের নাতি নাতনিরা অনুপযুক্ত।

আগামীতে এই জেলাকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ করতে হবে। কোনো রাজাকারের বাচ্চারা জনপ্রতিনিধি হয়ে না আসতে পারে সেজন্য সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।

তিনি বলেন, কোনো দূর্বৃত্তায়ন, অন্যায়, অনিয়ম বরদাস্ত করা হবেনা। অপরাধীদের কোনো দল নাই। তারা অপরাধী। মানুষ শান্তিতে থাকবে, কারোর জমি দখল না হয়, কেউ যেনো চাঁদাবাজি না করতে পারে, কেউ যেনো স্বর্ণ পাচার, মাদক ব্যবসা না করতে পারে,জাল স্ট্যাম্প বিক্রি না করতে পারে এজন্য সবাইকে স্বোচ্চার থাকার আহবান জানান তিনি।

উন্নত ও সমৃদ্ধ মেহেরপুর গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে জনপ্রশাসন মন্ত্রী বলেন, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে মুজিবনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ, রেল সংযোগের উন্নয়ন, মেহেরপুর জেলার আড়াইশ বেডের হাসপাতালেটি উন্নত করে এখানে ৫৮ জন চিকিৎসক নেয়া এবং নার্সিং ইনস্টিটিউটের কাজ শেষ হবে।
এছাড়া আগামি দেড় বছরের মধ্যে, মেহেরপুর- কুষ্টিয়া আঞ্চলিক সড়কের কাজ পরিপূর্ণভাবে শেষ হবে বলেও জানান তিনি।

সম্বর্ধনা শেষে মেহেরপুর শহরের ৪নং ওয়ার্ডের শেখপাড়া, কালাচাঁদপুর, নতুনপাড়া ও মাঠপাড়ায় গণসংযোগ করেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি।