
মেহেরপুরের গাংনীতে অনুমোদন ছাড়াই পরিচালিত অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসন। গতকাল সোমবার সকাল থেকে গাংনী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় একযোগে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানসূত্রে জানা যায়, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন–২০১৩ লঙ্ঘন করে দীর্ঘদিন ধরে প্রয়োজনীয় লাইসেন্স ও পরিবেশগত ছাড়পত্র ছাড়া বেশ কয়েকটি ভাটায় ইট উৎপাদন চলছিল। এসব ভাটা পরিবেশের ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলায় কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে মাঠে নামে।
সকালের অভিযানে গাংনী পৌর এলাকার ধানখোলা রোডে অবস্থিত ‘দোয়েল ব্রিকস’ নামের অবৈধ ইটভাটাটি ভেঙে দেওয়া হয়। ভাটার চিমনি, ভাটা কাঠামোসহ উৎপাদন–সংশ্লিষ্ট অবকাঠামো গুঁড়িয়ে দেয় অভিযাত্রী দল।
অভিযান পরিচালনা করেন খুলনা পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মমতাজ বেগম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের ইন্সপেক্টর টিপু সুলতান,জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি এবং যৌথ বাহিনীর একটি বিশেষ টিম।
এছাড়া রিপন ইটভাটা ও সুপার ইটভাড়ার সাজানাে ইট ভেঙ্গে দেওয়া হয়। পর্যায়ক্রমে অবৈধ ভাটাগুলোতে অভিযান চালানো হবে বলেছেন জানিয়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা । তবে প্রাথমিকভাবে ড্রাম চিমনি ব্যবহারকৃক ভাটাগুলোতে অভিযান শুরু হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, ইটভাটায় ড্রাম চিমনি ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে সরকার।কিন্তু কিছু ভাটামালিক অবৈধভাবে এই চিমনি ব্যবহার করে আসছে।তাই অবৈধ ভাটাগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে।১টি ইটভাটা ভাঙা হয়েছে।২টির রাউন্ড ভাঙা হয়েছে। আরও একটিতে অভিযান চালানো হবে।পর্যায়ক্রমে এ অভিযান চলমান থাকবে।
অভিযান শেষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মমতাজ বেগম বলেন, “পরিবেশ ধ্বংস করে কোনো ইটভাটা চলতে দেওয়া হবে না। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান থাকবে।”
এসময় পরিবেশ অধিদপ্তরের মেহরপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শেখ কামাল মেহেদী, পরিদর্শক টিপু সুলতানসহ সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আনসার সদস্য উপস্থিত ছিলেন।


