দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে বিজয় নিশ্চিত করতে সবুজ-মাসুদ সংগঠণের প্যানেল ঘোষনা

কেরুজ শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনের আরমাত্র ১ দিন বাকি। নির্বাচনকে ঘিরে নানা জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ভোট গ্রহণের আগেই বিজয় নিশ্চিত করতে সবুজ-মাসুদ সংগঠণের কর্ণধররা প্যানেল ঘোষনা দিয়েছেন।

সবুজ-মাসুদ এক তৃতীয়াংশ ভোটার নিয়ে প্যানেল ঘোষনা দেয়ায় তাদের বিজয় অনেকটা নিশ্চিত বলে শ্রমিক-কর্মচারীরা মনে করছেন। তবে কেরুজ শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন নির্বাচন মানে ভিন্নকিছু। ভোট গণনা শেষে বিজয়ীরা পরবেন বিজয়ের মালা। তা দেখতে শনিবার ভোট গণনা পরবর্তী ফলাফল ঘোষনা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে ভোটারদের।

দর্শনা কেরুজ শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন ৪ ফেব্রুয়ারি। সে হিসাবে নির্বাচনের আরমাত্র ১দিন বাকি। প্রসাশন ভান্ডার, স্বাস্থ্য বিধান, ইমারত, সেনিটেশন, হাসপাতাল, চোলাই মদ কারখানা, ডিস্টিলারী, বিদ্যুত ও কারখানা, প্রকৌশলী, পরিবহন, ইক্ষু উন্নয়ন, ইক্ষু সংগ্রহ বিভাগ মিলে ভোটার সংখ্যা ১ হাজার ১৮৯ জন ভোটার।

এ ভোটারের বিপরীতে সভাপতি পদে বর্তমান সভাপতি ফিরোজ আহমেদ সবুজ (ছাতা) ও সাবেক সভাপতি তৈয়ব আলী (বাইসাইকেল) প্রতীকে লড়বেন। সহসভাপতি পদে নির্বাচিত হবেন ২ জন। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এসএম কবীর (কলস), আনিসুর রহমান (গরুরগাড়ী), রেজাউল করিম টেবিল ও মফিজুল ইসলাম (তালাচাবী), সাধারণ সম্পাদক পদে ৮ বারের নির্বাচিত বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ (চাঁদতারা), সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম প্রিন্স (আনারস) ও নতুন প্রার্থী জয়নাল আবেদীন নফর (হারিকেন) প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মাঠে থাকবেন। যুগ্নসম্পাদক পদেও ২ নির্বাচিত হবেন। ভোট যুদ্ধে মাঠে রয়েছেন বর্তমান যুগ্নসম্পাদক খবির উদ্দিন (আম), সাবেক সহসভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান (চেয়ার), হাফিজুর রহমান (হাস), মহিদুল ইসলাম (হাতপাখা) ও আতিয়ার রহমান (মাছ) প্রতিকে ভোট করবেন।

সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ইকবাল হোসেন (কাপপিরিচ) ও বাবুল আক্তার (প্রজাপতি), দফতর সম্পাদক পদে সালাউদ্দিন সনেট (উড়োজাহাজ) এবং আবুল হোসেন (হরিণ), প্রচার সম্পাদক পদে সাংবাদিক ইয়াসির আরাফাত মিলন (কুড়েঘর), মিজানুর রহমান (মোড়গ) ও আব্দুল কুদ্দুস (মোবাইল ফোন)। কোষাধ্যক্ষ পদে কায়েশ আব্দুল্লাহ (রিকশা ও আবু সাঈদ (কাঠাল) প্রতীকে ভোট করবেন। এ ছাড়া ৭ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১ ও ৬ নং ওয়ার্ডে ৪ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। যারা ভোট যুদ্ধে রয়েছেন তাদের মধ্যে ২ নং ওয়ার্ডে বাবর আলী (বেলচা), আব্বাস আলী (বালতি) ও আমিরুল ইসলাম (ডাব)। ৩ নং ওয়ার্ডে জাহিদুল ইসলাম (ডাব), মোজাহারুল ইসলাম (হাতুড়ি), শরিফুল ইসলাম (টর্চলাইট) ও শফিকুল ইসলাম (আখের আটি)। ৪ নং ওয়ার্ডে মতিয়ার রহমান (ডাব), কামরুল হাসান লোমান (আখের আটি), মাহমুনুল হাসান (টর্চলাইট)। ৫ নং ওয়ার্ডে সাইফ উদ্দিন সুমন (ডাব), সাহেব আলী (টর্চলাইট) ও হারিজুল ইসলাম (আখেরআটি) এবং ৭ নং ওয়ার্ডে জাহিদুল ইসলাম (গাভী), জহিদুল ইসলাম (বালতি) ইদ্রিস আলী (ডাব), রবিউল ইসলাম (বেলচা) আজাদুল ইসলাম (হাতুড়ি) ও তারাপদ (আখেরআটি) প্রতিকে নির্বাচন করবেন। এবারের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান কেরুজ চিনিকলের মহাব্যবস্থাপক (অর্থ) সাইফুল ইসলাম, সদস্য সচিব পরিবহন বিভাগের (প্রকৌশলী) আবু সাইদ, সদস্য প্রশাসন বিভাগের উপ-ব্যবস্থাপক (পার্সনাল) আলআমিন, উপ-ব্যবস্থাপক (হিসাব) জাবেদ হাসান, জুনিয়ার অফিসার (বানিজ্যিক) জহির উদ্দিন।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানাগেছে, প্রশাসন ও হিসাব বিভাগে ১০৯, ওয়ার হাউজ ও ডিস্টিলারী বিভাগে ১৫৪ জন, পরিবহণ বিভাগে ১৮৫ জন, ইক্ষুসংগ্রহ বিভাগে ১৫৪ জন, ইক্ষু উন্নয়ন বিভাগে ১২৫ জন, উৎপাদন বিভাগে ২৫০ জন এবং প্রকৌশলী বিভাগে ভোটার রয়েছে ২১২ জন। যারা ভোট দিয়ে ২৫ জনকে নির্বাচিত করবেন। এ নির্বাচনকে ঘিরে চলছে নানা সমিকরণ।

সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে প্যানেল ঘোষনা করেছেন সভাপতি প্রার্থী ফিরোজ আহমেদ সবুজ সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মাসুর রহমান মাসুদ। এক তৃতীয়াংশ ভোটর নিয়ে প্যানেল ঘোষনা করায় তাদের বিজয় অনেকটা নিশ্চিত বলে শ্রমিক-কর্মচারীরা মনে করছেন। সব প্রশ্নের উত্তর জানতে শনিবার ভোট গণনা শেষে ফলাফল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে সকলকে।