নতুন ঘর পেয়ে খুশীতে আত্মহারা দরিদ্র ভ্যানচালক রেজাউল

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের গোবরা গ্রামের দরিদ্র ভ্যানচালক খন্দকার রেজাউল ইসলামকে ঘর উপহার দিয়েছে বেসরকারী সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট ফোরাম। ঘর পাওয়ার পর তার পরিবারে ফুটে উঠেছে আনন্দের হাসি, বুকভরা আশার আলো।

তিন শতাংশ জমির উপর ভাঙ্গা চুরা খুপরি ঘরে স্বামী, স্ত্রী ও আট সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন দরিদ্র ভ্যানচালক খন্দকার রেজাউল ইসলাম। বৃষ্টি এলে ঘরে পানি পড়তো। বসবাসের অযোগ্য এমন খুপড়ি ঘরেই কষ্ট করে পরিবারের সকল সদস্যদের বসবাস করা লাগতো।
রেজাউল ইসলাম ভ্যান চালিয়ে ঘর মেরামত তো দূরে থাক আট সন্তানের একমুটো খাবার তুলে দিতে সব শেষ। বিষয়টি বেসরকারী সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট ফোরামের নজরে আসে।
এরপর মানবতা ও মানবিতার উজ্জল দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করতে রেজাউল ইসলামের বাড়ীতে খুপড়ি ঘরের পরিবর্তে সেথানে নতুন করে আধাপাকা ঘর নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শনিবার এ ঘরটি হস্তান্তর করা হয়।

এ উপলক্ষ্যে দোয়া অনুষ্ঠানের আয়ােজন করা হয়। ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট ফোরামের চেয়ারম্যান আশিকুল ইসলাম চপল এর সভাপতিত্বে ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এসময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদুজ্জামান তুষার, আলহাজ্ব জহুরুল হক মাষ্টার, কাজী লিয়াকত আলী, মিজানুর রহমান মাষ্টার, সদর উদ্দিন মল্লিক, মোঃ লাভলু হাসান, তরুণ সমাজকর্মী শাব্বির আহমেদ, মিয়া মোঃ তৌসিফ, সিরাজুল ইসলাম লিটু সহ ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট ফোরামের অন্যান্য সদস্য বৃন্দ।

ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট ফোরামের চেয়ারম্যান আশিকুল ইসলাম চপল বলেন, ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট ফোরাম একটি অলাভজনক সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। সমাজের অসহা মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমরা চেষ্টা করে থাকি।শীতবস্ত্র, খাদ্যসামগ্রী বিতরণের পাশাপাশি বিভিন্ন সময় দরিদ্র মানুষের আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ ও পানির জন্য টিউবয়েল স্থাপনসহ ভালো কাজের সাথে সম্পৃক্ত থাকি। এজন্য আমাদের সংগঠনের মাধ্যমে এছাড়াও বিভিন্নভাবে সহায়তা নিয়ে এসব অসহায় মানুষের পাশে থাকি। তিনি বলেন, দরিদ্র ভ্যানচালক খন্দকার রেজাউল ইসলাম তার পরিবারের সব সদস্যদের একসাথে শান্তিতে ঘুমানোর জন্য তিন রুম বিশিষ্ট বারান্দাসহ আধাপাকা একটি ঘর নির্মাণ করে দিয়েছি। এটির মোট ব্যায় হয়েছে ১ লাখ ৪০ টাকা।

নতুন ঘর পেয়ে খুশীতে আত্মহারা হয়ে ওঠে দরিদ্র ভ্যানচালক খন্দকার রেজাউল ইসলাম। এসময় তিনি আবেগে আপ্লুত হয়ে উঠে বলেন, আমি একজন দরিদ্র ভ্যানচালক। নিজের একটুখানি মাথা গোঁজার ঠাই থাকলেও এতোদিন পরিবার-পরিজন নিয়ে কোনরকমে খুপড়ি ঘরের মধ্যে কোনোমতে জীবনযাপন করতাম। এখন ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট ফোরামের চেয়ারম্যান আশিকুল ইসলাম চপল আমাকে ঘর দিয়েছেন। আমিসহ আমার পরিবারের সবাই খুবই খুশি। এ আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।