
বিজয় দিবসে কান্না থেকে হাসি, তুষারের মুখে ফিরল বিজয়ের আলো। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত তুষারের কান্নারত ছবি দেখে বিজয়ের আনন্দ ম্লান হয়ে গিয়েছিল নতুন সাইকেল হারিয়ে। মহান বিজয় দিবসে আনন্দ দেখতে এসে যার চোখে নেমে এসেছিল অশ্রু ছোট্ট তুষারের। হারিয়ে যাওয়া একমাত্র সাইকেলটি যেন তার শৈশবের হাসিটাকেই কেড়ে নিয়েছিল। ফুপিয়ে ফুপিয়ে কেঁদে বলতে ছিলো আগামীকাল আমি কিভাবে স্কুলে যাব। চোখের পানি আর বুকভরা কষ্ট নিয়ে দিন কাটাচ্ছিল তুষার। তার সেই নিঃশব্দ কান্নার গল্প বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হলে বিষয়টি নাড়া দেয় অনেকের হৃদয়।
মানবাধিকার কর্মীদের প্রচেষ্টাই মানবিকতায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার পান্না আক্তার। অশ্রু ভেজা চোখ দেখে সন্তান সমতুল্য তুষারের পাশে অভিভাবকের ন্যায় দাঁড়ান।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে বিজয় দিবসের শুভক্ষণে উপহার হিসেবে আলমডাঙ্গা উপজেলা মঞ্চে বিজয় মেলায় তুষারের হাতে তুলে দেন একটি নতুন সাইকেল। মুহূর্তেই কান্নাভেজা চোখে ফুটে ওঠে আনন্দের ঝিলিক হারানো হাসি ফিরে পায় তুষার।
সাইকেল পেয়ে বিজয়ের আনন্দ যেন দ্বিগুণ হয়ে ওঠে তার মুখে। ইউএনওর হাত থেকে সাইকেল নিয়ে শিশুসুলভ উচ্ছ্বাসে নিজেই চালিয়ে বাড়ির পথে রওনা দেয় তুষার। সেই দৃশ্য যেন বলে দেয় বিজয় শুধু যুদ্ধের নয়, মানবিকতারও।
একটি সাইকেল বদলে দিল একটি শিশুর দিন, বদলে দিল তার মনে জমে থাকা বিষণ্নতা। বিজয় দিবসে তুষারের মুখের সেই হাসি হয়ে রইল আলমডাঙ্গার জন্য মানবতার এক উজ্জ্বল উদাহরণ।