নাঈমের মাল্টা এখন বাজারে বাজারে

আলমডাঙ্গা উপজেলার প্রত্যন্ত চরপাড়া গ্রামে মাল্টা, পেয়ারা ও লেবুর আবাদ করে আত্মনির্ভরশীল হয়ে ওঠার এক অকল্পনীয় গল্প তৈরি করেছেন স্কুল শিক্ষক নাঈম হাসান। নাঈম হাসানের তৈরি এই বাস্তব গল্পের মাল্টা বাগানে গাছভর্তি এখন টাকা আর টাকা। ঝুলছে মাল্টা গাছে টাকা, পেয়ারা গাছে টাকা ও টাকা ঝুলছে লেবু গাছের ডালে ডালে। তিন বছর অক্লান্ত পরিশ্রম করে তিনি মাল্টার এই স্বপ্নের বাগান গড়ে তুলেছেন। এখন মণ মণ বিক্রি হচ্ছে মাল্টা, পেয়ারা ও লেবু।

রবিবার সরেজমিন উপজেলার একমাত্র মাল্টার বাগান দেখতে যান এই প্রতিবেদক। জামজামী ইউনিয়নের প্রান্তিক গ্রাম চরপাড়ার মাঠে গড়ে তোলা হয়েছে বিশালাকৃতির বাগান। বাগানটিকে চারদিক থেকে দেখভাল করছে চার থেকে পাঁচজন নিয়মিত শ্রমিক। বাগানের গাছে গাছে ঝুমঝুম করছে অগুনতি সবুজ মাল্টা ফল। খেতে সুমিষ্ট মাল্টার পাইকারী বাজার দর এখন কেজি প্রতি ১০০ টাকা। প্রতিদিন বাগান থেকে মনকে মাল্টা উঠানো হচ্ছে। স্থানীয় বাহনে তা চলে যাচ্ছে বাজারের খুচরা বিক্রেতাদের দোকানে।

বাগানের উদ্যেক্তা নাঈম হাসান জানান, তিনি একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তিনি এমনিতেই আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী। প্রথমে কিছু দরিদ্র মানুষকে উপকার করতে মাল্টা, পেয়ারা ও লেবুর বাগান করার উদ্যেগ নেন তিনি। তিনি বলেন, এই বাগানকে ঘিরে চার-পাঁচটি পরিবার আর্থিকভাবে স্বচ্ছলতা পেয়েছে। স্বচ্ছলতার সাথে তাদের সংসার চলছে। পাশাপাশি তিনি নিজেও এখন আরও স্বাবলম্বি হতে পেরেছেন।

নাঈম হাসান জানান, যুবকরা এ ধরনের উদ্যেগ নিয়ে সহজেই স্বাবলম্বী হতে পারেন। শুধু মাল্টার বাগান না, ছোট ছোট বিভিন্ন খামার করেও যুবকরা স্বাবলম্বী হতে পারেন। এখন অনেকেই গরুর খামার, হাস-মুরগীর খামার, মাছের খামার করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন।

তিনি জানান, চাকরির পেছনে ঘুরে সময় নষ্ট করে না করেতে। একটু বুদ্ধি করে পরিশ্রম করলেই আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়া যায়।