নারী, শিশু ও ৫০ উর্ধ্ব বয়স্কদের বাজারে প্রবেশ নিষেধ

বরগুনায় লক-ডাউনকে উপেক্ষা করে হাজার হাজার নারী-পুরুষ, শিশু ও কিশোর বাজারে আসছে। প্রশাসন, আইন শৃংখলা বাহিনীর তৎপরতায়ও ঠেকানো যাচ্ছে না জনতার ঢল।

শনিবার জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় জনস্রোত থামাতে রবিবার থেকে কঠোর অবস্থানে যাবার ঘোষণা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ।

এর মধ্য রয়েছে, নারী, শিশু ও ৫০ উর্ধ্ব কোন ব্যক্তি এবং অসুস্থ কেউ বাজারে প্রবেশ করতে পারবে না। একই পরিবারের ২জনকে পাওয়া গেলে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করা হবে। জেলা প্রশাসনের এই ধরনের সিদ্ধান্ত সমর্থন জানিয়েছেন স্থানীয় বিভিন্ন মহল ও নাগরিক সমাজ।

কেউ কেউ দাবি করেছেন, এর সাথে সংযুক্ত করা হোক, যারা শহরে বা বাজারে আসবেন তাদের সাথে মূল জাতীয় পরিচয়পত্র থাকতে হবে।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের বরগুনা জেলা সভানেত্রী নাজমা বেগম বলেন,নারী-পুরুষ নয়, সকলের প্ররবেশে কঠোর নিয়ন্ত্রণ করা উচিৎ।

বে-সরকারি সংগঠন “জাগো নারীর প্রধান নির্বাহী হোসনেয়ারা হাসি বলেন, আমাদের অসচেতনতার কারণেই প্রশাসন এই কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে নারীদের লক্ষ করেই যদি এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় সেটা হবে পক্ষপাতমূলক। প্রশাসন লকডাউন বাস্তবায়নে যারা ঘরের বাহিরে আসবে তাদের সাথে জাতীয় পরিচয় পত্রের মূল কপি রাখাটা বাধ্যতামূলক করতে পারেন।

ইতোমধ্যে বরগুনায় চিকিৎসক, সাংবাদিক নার্সসহ ৪২ জনের মতো ব্যক্তি আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ২ জন। তারপরও নাগরিকরা সচেতন হচ্ছে না।