নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দেশের ৩৫০জন বিশিষ্টজনের বিবৃতি

নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দেশের ৩৫০জন বিশিষ্টজনের বিবৃতি

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দেশের ৩৫০ জন বিশিষ্ট নাগরিক, শিক্ষক এবং পেশাজীবী বিবৃতি দিয়েছেন। সংবিধান, রাষ্ট্র ও উন্নয়ন-বিরোধী যে কোনো অপতৎপরতার বিরুদ্ধে দেশবাসীকে সজাগ থাকার আহ্বান জানানো হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা অনুষদের সাবেক ডিন শিল্পী অধ্যাপক সৈয়দ আবুল বারক্ আল্ভীর স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়। এতে স্বাক্ষর করেন দেশের ৩৫০ জন বিশিষ্টজন।

বিবৃতিতে বলা হয়, গত ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষিত হয়েছে। জনসাধারণের মধ্যে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল প্রার্থী মনোনয়ন চূড়ান্ত করার কাজ শুরু করেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলনরত অনেক দল নির্বাচনে আসতে শুরু করেছে। বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে। এমন সময়ে অগণতান্ত্রিক শক্তির দোসররা আবারও নতুন খেলায় মেতে উঠেছে। তারা নির্বাচন বানচালের নতুন কৌশল নিয়ে মাঠে নেমেছে। সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বিভিন্ন অপকৌশল এবং একটি রাজনৈতিক দলের আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে এবার তারা সাবেক আমলা এবং একটি স্বার্থান্বেষী মহলকে মাঠে নামানোর অচেষ্টা করছে।’

এতে আরও বলা হয়, ‘বিরাজনীতিকীকরণের কৌশল হিসেবে তারা পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক বাতিল হওয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য মায়াকান্না শুরু করেছে। ‘ডক্ট্রিন অব নেসেসিটি’র কথা বলে সংবিধানের বাইরে গিয়ে ‘সংকট’ সমাধানের যে কথা তারা বলছেন, তা গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ বলে আমরা মনে করি। তারা সংবিধান লংঘন করে ‘মার্জনা’ দেওয়ার কথা বলছে। যা শুধু অগণতান্ত্রিকই নয়- রাষ্ট্রদ্রোহিতারও শামিল। এ ধরনের অপচেষ্টা তারা অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালেও করেছিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা ও অসাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পর তথাকথিত ‘মার্জনা’ প্রদান করার মাধ্যমে হত্যা, ক্যু, ষড়যন্ত্র, রাষ্ট্রদ্রোহিতা এবং সংবিধান লংঘনের মত ঘটনাগুলোকে যারা বৈধতা দিয়ে দেশকে খুনিদের অভয়রণ্যে পরিণত করেছিল, তাদেরই মিত্ররা বিভিন্ন সময়ে ঘোলাপানিতে মাছ শিকারে আবির্ভূত হয় ‘বিবৃতিতে দেশের বিশিষ্টজনেরা বলেন, ‘আলোচনার নামে সময় ক্ষেপণ করে দেশে সাংবিধানিক সংকট তৈরি করাই তাদের আসল উদ্দেশ্য। গণতান্ত্রিক রীতিনীতিতে ক্ষমতায় যাওয়ার একমাত্র পথ নির্বাচন। আন্দোলনের নামে অরাজকতা সৃষ্টির পথ পরিহার করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’

অসাংবিধানিক ধারার পৃষ্ঠপোষক, খুনিচক্রের প্রেতাত্মাদের নতুন কৌশলে পুরাতন ষড়যন্ত্রের অপচেষ্টাকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করা হয় বিবৃতিতে।