নিয়ম বহির্ভূতভাবে করমদি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮টি গাছ কর্তনের অভিযোগ

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার করমদি গ্রামের করমদি মাধ্যমিক বিদ্যলয়ের ৮টি গাছ কর্তন করা হয়েছে। গত ১৫ ডিসেম্বর রাত থেকে বিজয় দিবস ১৬ই ডিসেম্বর পর্যন্ত ঐ গাছগুলো কাটা হয় বলে জানা গেছে।

স্থানীয়রা রাতের আঁধার থেকে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের মধ্যে গাছ কাটার বিষয়টি কে স্বাভাবিক ভাবে দেখছেন না। স্থানীয়দের অনেকে জানান, বিদ্যালয়ের গাছ কাটতে হলে অনেক নিয়ম মেনে তবেই গাছ কাটতে হয়। এখানে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ ও প্রধান শিক্ষক সে নিয়মকে উপেক্ষা করে বিদ্যালয়ের গাছ কর্তন করেছেন।

তবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ আলম হুসাইন বলেন, বিদ্যালয়ের গাছ বিদ্যালয়ের প্রয়োজনে কাটা হয়েছে। আর আমরা লোকচক্ষুর অন্তরালে গাছ কাটিনাই। আমরা আমাদের সুবিধা মতো সময়ে গাছ কেটেছি সকলেই জানে।

প্রধান শিক্ষক বলেন, বিদ্যালয়ের শ্রেণী কক্ষের শিক্ষার্থীদের বসার অসুবিধা হওয়ায় অনেক গুলো বেঞ্চের প্রয়োজন হওয়ায় এই গাছ কাটতে হয়েছে তাছাড়া গাছগুলোর বয়সও অনেক। তবে বিদ্যালয়ের সভাপতি লাইলা আরজুমান বানু শিলা জানান, সিমানা প্রাচির করার প্রয়োজনীয়তার কথা বলা হয়েছে।

সুত্রমতে বিদ্যালয়ের গাছ কাটতে হলে পরিবেশ মন্ত্রাণলয়ের অনুমোদন নিয়ে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের রেজুলেশন করে গাছ কাটতে হয়।
এ প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ আলম হুসাইন সাংবাদিকদের বলেন, বিদ্যালয়ের জমির নিজেস্ব গাছ আমরা কেটেছি এখানে উপর মহলের কোন অনুমতির প্রয়োজন হয়না। শুধুমাত্র পরিচালনা পর্ষদের অনুমতি সাপেক্ষে বিদ্যালয়ের প্রয়োজনে গাছ কাটার নিয়ম আছে।

তবে রেজুলেশন দেখতে চাইলে তিনি বলেন, রেজুলেশন করা হয়েছে খাতাটি তার বাসায় রয়েছে পরে দেখানো যেতে পারে। পরে যোগযোগ করা হলে তিনি বলেন আসলে রেজুলেশন খাতাটি বিদ্যালয়েই রয়েছে আমার জানা ছিলনা পরে রেজুলেশন খাতা দেখানো যাবে। স্থানীয় অনেকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, গাছগুলো ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকা হতে পারে।

বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি লাইলা আরজুমান বানু শিলা জানান, লিখিত ভাবে প্রধান শিক্ষক আমাকে জানায়নি। তবে মৌখিকভাবে জানিয়েছিল। আমি তাকে নিয়মের মধ্যে থেকে যেটা হয় সেভাবে কাজ করতে বলেছি। সভাপতি আরও বলেন, প্রধান শিক্ষককে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা বলে বিধিমোতাবেক যেটা হয় সেভাবে গাছ কাটতে হবে। বিধির বাইরে গেলে আমি সেটা মেনে নেবনা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলারা রহমান সাংবাদিকদের জানান, বিদ্যালয়ের সভাপতির দায় দিয়ে কোন গাছ কাটা যাবেনা। বিদ্যালয়ের গাছ কাটতে হলে অবশ্যই এর একটি নিয়ম আছে বিধি আছে সে বিধি মোতাবেক গাছ কাটতে হবে। তিনি বলেন সেখানে ভূমি কর্মকর্তাকে তদন্ত করে দেখতে বলা হয়েছে। তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
-নিজস্ব প্রতিবেদক