পরিবর্তন ও চুয়াডাঙ্গার উন্নয়নে ঈগল প্রতিকে ভোট দিন

পরিবর্তন ও চুয়াডাঙ্গার উন্নয়নে ঈগল প্রতীকে ভোট দিন

চুয়াডাঙ্গা -১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী দিলীপকুমার আগরওয়ালার ঈগল প্রতিকের বিশাল নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার বিকেলে আলমডাঙ্গা সরকারী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এ জনসভা অনুষ্ঠিত হয়।

জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের স্বতন্ত্র ঈগল প্রতিকের প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য দিলীপকুমার আগরওয়ালা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, আমার সামনে যারা বসে আছেন তারা আমার প্রাণশক্তি, তারাই আমার সাহস, তারাই আমার ক্ষমতা। আলমডাঙ্গাবাসী আমি আপনাদের ভাই, আপনাদের সন্তান, আপনাদের আপনজন। আমি চুয়াডাঙ্গা কলেজে পড়েছি। অ্যাডভোকেট শফি মামার হাত ধরে ছাত্রলীগ করতাম। তখন সেই কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলাম। মানুষ মনে করে দিলীপ কোথা থেকে এসেছে। চুয়াডাঙ্গায় ১৯৪২ সালে রুপছায়া সিনেমা হল তৈরি হয়েছিলো। তখন আমার দাদা ওই সিনেমা হল পরিচালনা করতেন। জার্মানির কার্লসরুহে ইউনিভার্সিটি থেকে আমার বাবা লেখাপড়া করে আসেন। টকিজ সিনেমা হলে ১৯৯৪ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত আমি আলমডাঙ্গাতেই ছিলাম। আমি এই জনপদে মাটি ও মানুষের টানে বারবার ছুটে আসি। সেই টান নামিয়েছে ভোটের যুদ্ধে। এই টান ঈগল প্রতিক নিয়ে পরিবর্তনের জন্য নেমেছি।

দিলীপ বলেন, সৃষ্টি কর্তার ইচ্ছায়,আপনাদের চেষ্টায় এই পরিবর্তন আসবেই। পরিবর্তন না আসলে এই জনপদের উন্নয়ন সম্ভব না। আমাদের স্লোগান হবে দ উন্নয়নের স্লোগান’। মহান মুক্তিযুদ্ধে আমার পরিবারের অনেক অবদান রয়েছে। চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গা বাসীকে জিম্মিদশা থেকে মুক্তি দিতে আমি এমপি হতে চায়।

তিনি আরো বলেন, আমার একটাই অনুরোধ-আপনাদের সকলকে ভোটকেন্দ্রে যেতে হবে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে সবাইকে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যাবেন। দিলীপ যদি যোগ্য হয় তবে ভোট দিবেন। আপনার ভোটটি ঈগল প্রতিকেই দিবেন। এই ভোট দিতে হবে পরিবর্তনের জন্য। শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য। উন্নত বিশ্ববিদ্যালয় করতে ভোট দিবেন। আপনারা যারা উপস্থিত রয়েছেন, তারা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিবেন। ঈগলের স্লোগানে অন্যান্য প্রতিকের কথা ভুলে গেছে জনগণ।

দিলীপকুমার আগরওয়ালা আরো বলেন, আপনারা কোন ভুল সিদ্ধান্ত নিবেন না। ভোট সুষ্টু ও নিরপেক্ষ হবে। যার যার ভোট সে সে দিবেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমি ভোটে এসেছি। আমি যদি এমপি নির্বাচিত হয়, প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে মসজিদ, মাদ্রাসা, গোরস্থান, মন্দির ও শ্বশানঘাট নির্মাণ করতে দিবো। আমি নির্বাচিত হতে পারলে, আলমডাঙ্গায় একটি হাসপাতাল ও একটি বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ করে দিবো। আগামি ৭ জানুয়ারি ঈগল প্রতিকে ভোট দিয়ে আমাকে জয়যুক্ত করবেন।

উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি পৌর মেয়র হাসান কাদির গনুর সভাপতিত্বে জনসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আইয়ুব হোসেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগাঠনিক সম্পাদক এ্যাডঃ আব্দুল মালেক, সাবেক জেলা আওয়ামীলীগের নির্বাহী সদস্য এ্যাডঃ শফিকুল ইসলাম, সাবেক উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক কাজী রবিউল হক, আলমডাঙ্গা পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান ফারুক, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট সালমুন আহমেম্দ ডন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু।

জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক, সাবেক চেয়ারম্যান কাউছার আহমেদ বাবলুর উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখেন সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম মন্ডল, সাবেক চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম মন্টু, সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মইনদ্দিন পারভেজ, সাবেক চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন টাইগার, জামজামি ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, ডাউকি ইউনিয়ন সভাপতি নুরুল ইসলাম দিপু, খাদিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হ্ফিজুর রহমান বাবলু, চিৎলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল বাতেন,গাংনি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান, বেলগাছি ইউনিয়নের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, কাউন্সিলর আশরাফুল ইসলাম বাবু, কাউন্সিলর জাসদ নেতা ডালিম, উপজেলা জাসদের সভাপতি গেলাম সরোয়ার, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক ও বিআরডিবির চেয়ারম্যান মহিদুল ইসলাম মুহিদ, তবারক হোসেন, কৃষকলীগ নেতা বজলুর রহমান, দীপক বিশ্বাস, কাউসার আলী কসর, সাহাবুল হক, মহিলা নেত্রী সামসাদ রানু, যুবমহিলা আওয়ামীগের জেলা সভাপতি আফরোজা পারভীন, এ্যাড, স্নিগ্ধা, মর্জেম হোসেন, রানা মন্ডল,সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নয়ন সরকার, সেলিম রেজা তপন, সজীব প্রমুখ।