পাকিস্তানের অ্যাকশন মুভিতে মাত বেইজিং

গত ৪৫ বছরের মধ্যে এই প্রথম পাকিস্তানের কোনো সিনেমা মুক্তি পেলো চীনে। হাসিব হাসান পরিচালিত ‘পারওয়াজ হ্যায় জুনুন’ নামের এই সামরিক অ্যাকশনধর্মী মুভিটি ২০১৮ সালে তৈরি হয়। খবর গ্লোবাল টাইমস এর।

একদল তরুণ দেশপ্রেমিক ক্যাডেটকে নিয়ে এই ছবির কাহিনী, সব ধরনের চ্যালেঞ্জ ও কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করে যারা পাকিস্তানের সেরা পাইলটে পরিণত হয়। মুভির এক অংশে একটি জেএফ-১৭ ফাইটারকে হাইলাইট করা হয়েছে। চতুর্থ প্রজন্মের এই ফাইটার যৌথভাবে তৈরি করেছে চীন ও পাকিস্তান, দর্শকদের অবাক করে দিয়ে পর্দায় এর আবির্ভাব ঘটে।

সিনেমায় দেখা যায় এয়ারফোর্স একাডেমির এক শিক্ষক এক শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞেস করছেন জেএফ-১৭ ও মিরেজ-২০০০ এর মধ্যে তুলনা করতে। ছাত্রের উত্তর জেএফ-১৭-এ নমনীয়তা ও নিরাপত্তাসহ তিনটি বেশি সুবিধা রয়েছে। পরে শিক্ষক এর সঙ্গে আরো সুবিধার কথা যোগ করেন। মুভিতে নারী পাইলটদের উপরেও নজর দেয়া হয়। দেখা যায় এক পাকিস্তানী তরুণী তার মার্কিন নাগরিকত্ব ও বিলাসবহুল জীবন ছেড়ে, অনেক কষ্ঠকর পরিস্থিতি পারি দিয়ে শেষ পর্যন্ত তার জেএফ-১৭ ফাইটার পাইলট হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করেন।

২০২১ সালে চীন ও পাকিস্তানের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৭০তম বার্ষিকীকে সামনে রেখে বুধবার থেকে বেইজিংয়ে সিনেমাটি প্রদর্শিত হচ্ছে। ছবির প্রিমিয়ারে উপস্থিত ছিলেন বেইজিংয়ে নিযুক্ত পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত মইনুল হক। ছবিটি দেখতে বিপুল সংখ্যক দর্শক জড় হয়। যাদের বেশিরভাগ কখনো পাকিস্তানি সিনেমা দেখেননি। তারা পাকিস্তানি সিনেমা শিল্প সম্পর্কেও অনেক কিছু শেখেন।

ছবিটি দেখানোর পর রাষ্ট্রদূত দর্শকদের জানান, যে চীনে আরও পাকিস্তানি মুভি ও টিভি ড্রামা দেখানো হবে যাতে চীনারা পাকিস্তানি জনগণের সংস্কৃতি ও দুই দেশের বন্ধুত্বের শক্তি সম্পর্কে বুঝতে পারে। এসময় সামরিক বিশেষজ্ঞ ও চলচ্চিত্র সমালোচক শিয়াও নিং বলেন, চার বছরের প্রচেষ্টায় যৌথভাবে নির্মিত জেএফ-১৭ বিমান নিয়ে তার আগ্রহ রয়েছে এবং এটা দুই দেশের বন্ধুত্বের প্রমাণ।