পুরোনোরূপে নতুন হাঁকডাক

শোবিজ অঙ্গনে ঈদকেন্দ্রিক হাঁকডাক বেড়েই চলছে। মুক্তি পাওয়ার অপেক্ষায় বহু সিনেমা। যদিও গত কয়েকবছর ধরেই এমন চিত্র দেখা যাচ্ছে। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসবে, ততই জটিল হতে থাকবে ঈদের সিনেমার হিসাব-নিকাশ। কাঙ্ক্ষিত হল না পেয়ে ছিটকে যাবেন অনেকেই। আর কী কী ঘটতে পারে, জানাচ্ছেন নুরুল করিম

পুরোনোরূপে নতুন হাঁকডাক

২০২৪ সালের প্রথম দুই মাসে যে সিনেমাগুলো মুক্তি পেয়েছে, তার মধ্যে একটি সিনেমাও আশা জাগাতে পারেনি। তবে বছরের শুরু থেকেই অনেক প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের বরাতে শোনা যাচ্ছে ঈদকেন্দ্রিক হাঁকডাক। ‘রাজকুমার’, ‘কাজলরেখা’, ‘জ্বীন ২’, ‘নেত্রী: দ্য লিডার’, ‘ওমর’, ‘দেশান্তর’ ‘এশা মার্ডার: কর্মফল’ ও ‘ডেডবডি’-এই সিনেমাগুলো মুক্তির অপেক্ষায় আছে বলে জানা গেছে। চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রতি ঈদেই ডজন ডজন সিনেমার নাম শোনা যায়। কিন্তু এত সিনেমা মুক্তি দেবে কোথায়? কোটি টাকায় সিনেমা বানিয়ে দুটা প্রেক্ষাগ্রহ পেলে তো কেউ মুক্তি দিতে চাইবে না।

শাকিব খান বনাম….

ঢাকাই ইন্ডাস্ট্রির সবাই-ই খুব করে চান ঈদে তাদের একটা অংশগ্রহণ থাকুক। তাই প্রতি ঈদেই দেখা যায় তুমুল প্রতিযোগিতা। এই প্রতিযোগিতার একদিকে থাকেন শাকিব খান। প্রতিবছরই কোনো না কোনো সুপারহিট ছবিতে তিনি পোক্ত করেছেন তার অবস্থান। এই ঈদেও ‘রাজকুমার’ নিয়ে বেশ খোশ মেজাজে শাকিব খান। বিগ বাজেটের এই সিনেমায় শাকিবের নায়িকা যুক্তরাষ্ট্রের কোর্টনি কফি। অন্যদিকে শরিফুল রাজ অভিনীত ৩ ছবি এবার ঈদে মুক্তির আলোচনা চলছে। এগুলো হলো— মিশুক মনিরের ‘দেশান্তর’, গিয়াসউদ্দিন সেলিমের ‘কাজলরেখা’ ও মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের ‘ওমর’। তবে শেষ পর্যন্ত ক’টি সিনেমা মুক্তি পায় তা অনিশ্চিত। অনন্ত জলিলের ‘নেত্রী: দ্য লিডার’ গত ৩ ঈদ পিছিয়ে এবার সত্যিই মুক্তি পাবে কিনা তা বলা মুশকিল। তবে ‘জ্বীন ২’ মুক্তি পাচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন জাজ মাল্টিমিডিয়া।

গানে গানে জমজমাট ঈদ

গিয়াসউদ্দিন সেলিমের সিনেমা মানেই দারুণ সব গানের সমাহার! তার পরিচালিত বহুল প্রতীক্ষিত ‘কাজলরেখা’র ক্ষেত্রেও হচ্ছে না ব্যতিক্রম! এতে থাকছে ২০টি গান। গানের কথা সংগৃহীত হলেও সুর ও সংগীতায়োজনের দায়িত্ব সামলেছেন সংগীত পরিচালক ইমন চৌধুরী। অন্যদিকে হিমেল আশরাফের ‘রাজকুমার’ সিনেমায়ও গান বেশ গুরুত্ব পাবে। পরিচালক বলেন, ‘প্রিন্স মাহমুদ, আকাশ, আর্জিন, সাজিদের সঙ্গে এবার গান আছে ইমন চৌধুরী।’

সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘বাক-যুদ্ধ!’

ঈদের ছবি মুক্তির আগে নির্মাতাদের যেন ঘুম হারাম অবস্থা। এক সময় দেশজুড়ে সিনেমার প্রচারণা চালালেও এখন বেশিরভাগই ঝুঁকেছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বিশেষ করে ফেসবুকে কে কতটা ‘হাইপ’ তুলতে পারেন সেই প্রতিযোগিতা চলে। সিনেমা ও শোবিজ কেন্দ্রিক পেইজ, গ্রুপ, ব্লগার ও কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের এ কাজে ব্যবহার করা হয়।

এ ছাড়া বিভিন্ন তারকাদের ফ্যান গ্রুপরাও এই কাজ বেশ সহজ করে দেন। যেমন—ফেসবুকে ‘দ্য কিং অব ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খান’-এর সদস্য সংখ্যা ৬ লাখের বেশি। শাকিবের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্রের গন্ধ পেলে সারাদিন না খেয়ে কাটান গ্রুপের কেউ কেউ এমন ঘটনাও আছে। তবে অনেকেই বলে থাকেন, শাকিবের বিপরীতে যে সিনেমাই হলে থাকুক না কেন, তারা সেই সিনেমার বিপরীতে অপপ্রচার চালান। এই ঈদেও শাকিবিয়ান বনাম অন্য তারকার ভক্তদের ‘সোশ্যাল মিডিয়ার বাক— যুদ্ধ’ অব্যাহত থাকবে, ধরে নেওয়াই যায়।
সূত্র: ইত্তেফাক