পেঁয়াজ চাষে ব্যাস্ত কুষ্টিয়ার কৃষকরা

পেঁয়াজকে অধিক পরিমাণে গুরুত্ব দিয়ে জমিতে যত্ম সহকারে দল বেধে পেঁয়াজের চাষ করছে কুষ্টিয়ার চাষীরা।

তবে দেশীয় পেঁয়াজ এর চেয়ে হাইব্রিড জাতের কিং পেঁয়াজ বেশী লাগানো হচ্ছে, চাষীরা বলছেন অল্প খরছে ভালো ফলন হওয়ায় এই হাইব্রিড জাতের কিং পেঁয়াজ লাগানো হচ্ছে।

অন্যদিকে পেঁয়াজের চাষ বেশী হওয়ায় পুরুষের পাশাপাশি নারীসহ ছাত্রছাত্রীরাও পেঁয়াজ লাগানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করেছেন।

কুষ্টিয়া শহরতলীর মোল্লাতেঘরিয়ার মাঠ সবাই দল বেধে একটি লাইনে একসাথে পেঁয়াজের জমিতে বসে পেঁয়াজের চারা রোপন করছেন। এবার পেঁয়াজের দাম মাত্রাতিরিক্ত হওয়ায় কুষ্টিয়ায় পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে চাষীরদের। অন্য সব ফসলের পাশাপাশি পেঁয়াজ চাষের প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছেন চাষীরা।

আব্দুল্লাহ নামের এক শিক্ষার্থী জানান, এখন স্কুল বন্ধ রয়েছে। তাই অন্যের জমিতে পেঁয়াজ লাগাতে এসেছি। তিনশত টাকা হাজিরাতে আমি পেঁয়াজ লাগাতে এসেছি। এই টাকা দিয়ে আমি বই খাতা কিনবো। আমার মতো অনেকেই এসে পেয়াজ লাগাচ্ছে।

কমলাপুর গ্রামের কৃষক আব্দুস সামাদ বলেন, গতবছর আমি ১০ কাঠা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছিলাম। কিন্তু পেয়াজের দাম না পেলেও এ বছরে পেঁয়াজের অনেক দাম থাকায় এবারে ৩বিঘা জমিতে পেঁয়াজ লাগাচ্ছি। শ্রমিক ঠিকমতো না পাওয়ায় নারী শ্রমিকদের দিয়েও পেঁয়াজ লাগাচ্ছি।

কৃষক বোরহান উদ্দিন জানান, আমরা চাষী মানুষ। শুধু ধান চাষ করলেই হবে না। এবার পেঁয়াজের দাম ভালো হয়েছে। তাই এবারে একটু বেশি করে পেঁয়াজ চাষ করেছি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক কৃষিবিদ রঞ্জন কুমার প্রমানিক বলেন, কুষ্টিয়া জেলায় এবার ১১ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ আবাদ হয়। তার মধ্যে পঁচিশশো ৫০ হেক্টর জমিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজ সেটা কর্তন হয়ে গেছে। সবমিলে ফলন হয়েছে ১১ থেকে সাড়ে ১২ টন পার হেক্টর, তাতে আমাদের বাইশ হাজার নয়শো নব্বই মেট্রিকটন উৎপাদন হয়েছে।

তবে পরবর্তীতে চারা পেঁয়াজ যেটা রোপন করা হচ্ছে এই পেঁয়াজটা মার্চ এপ্রিল দিকে উঠবে, এবং বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন কৃষি বিভাগ। বাংলাদেশের যে পাঁচটি জেলায় পিঁয়াজের বেশি উৎপাদন হয় তার মধ্যে কুষ্টিয়া একটি। আবহাওয়া ভালো থাকলে এবার কুষ্টিয়ার পেঁয়াজ দিয়ে দেশের বড় একটি চাহিদা মেটানো যাবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্ঠরা।

মেপ্র/ আরপি