প্রতারণার ফাঁদ খুলে বসেছে বামন্দীর সাজ জুয়েলার্স

প্রতারণার ফাঁদ খুলে বসেছে মেহেরপুর গাংনী উপজেলার বামন্দীর সাজ জুয়েলার্স এর সত্ত্বাধিকারী মনিরুল ইসলাম মনি(৫০)।

বামন্দী এলাকার মিষ্টি ব্যবসায়ী আলী হোসেন জানান, আমার স্ত্রীর জন্য সাজ জুয়েলার্স থেকে ৯ হাজার টাকা দিয়ে আংটি বানিয়ে এক মাস যেতে না যেতেই ভেঙ্গে পড়ে যায়। পরবর্তীতে তার কাছে নিয়ে গেলে তিনি বলেন, কে এই আংটি বানিয়ে দিয়েছে যেখানে সোনার চাইতে খার বেশি।

চর গোয়াল গ্রামের এরশাদ আলী জানান, আমি একটি আংটি সাড়ে ৭ হাজার টাকা দিয়ে কিনে আমার এক নিকটাত্মীয়ের বিয়ের দাওয়াত খেয়ে আসি কিন্তু কিছুদিন পরেই আমার সেই আত্মীয়রা জানান আংটি একাই খুলে পড়ে গেছে। পরবর্তীতে সাজ জুয়েলার্সে নিয়ে আসলে মনিরুল ইসলাম জানান, এটি ঠিক করতে আরো ৫ হাজার টাকা খরচ হবে।

চর গোয়াল গ্রামের সাঈদ আহমেদ জানান, আমার বেটার বৌ এর জন্য আমি ৪৫ হাজার টাকার গহনা বানিয়েছি সাজ জুয়েলার্স থেকে, এখন গহনাগুলোর রং কালো হয়ে গেছে। নাম প্রকাশ করা যাবে না এমন শর্তে একজন জানান, মনিরুল ইসলাম দীর্ঘদিন দুই নম্বরি স্বর্ণের ব্যবসা করে আসছে। এক সময় দেখেছি শুধু হাত পা নিয়ে এসে একটি ছোট্ট স্বর্ণের দোকান খুলে বসে বর্তমানে সে দুই নম্বরি ব্যবসা করে প্রচুর অর্থ সম্পদের মালিক হয়েছে।

সাজ জুয়েলার্স এর সত্ত্বাধিকারী মনিরুল ইসলাম(মনি) জানান, আমি যদি কাউকে নিম্নমানের স্বর্ণের গহনা দিয়ে থাকি তাহলে মেমো দেখিয়ে তার গহনা ভালো করে বুঝে নেবে। নিউজ করে আপনাদের লাভ কি, তাদের যদি মাথাব্যথা না হয় তাহলে আপনাদের মাথা ব্যথা কেন।

বামন্দী বাজার কমিটির সভাপতি (সাবেক চেয়ারম্যান) আব্দুল আওয়াল জানান, কেউ যদি আমাদের কাছে মৌখিক বা লিখিত অভিযোগ করে তাহলে দুপক্ষকে নিয়ে বসে একটি সমঝোতা করে দেয়া হবে।

গাংনী থানার ওসি মোঃ বজলুর রহমান জানান, এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি যদি অভিযোগ করে তাহলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।