প্রতিবেশীকে ফাঁসাতে শিশু তুহিন হত্যা: বাবা ও চাচার ফাঁসির আদেশ

সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় শিশু তুহিন হাসান (৬) হত্যার চাঞ্চল্যকর মামলায় তার বাবা ও চাচার মৃত্যুদণ্ডের রায় হয়েছে।

সোমবার সকাল ১০টা ৪৫ মিনিট সুনামগঞ্জের জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক ওয়াহিদুজ্জামান শিকদার এ রায় দেন। অপরাধ প্রমাণ না হওয়ায় দুজনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।

দণ্ডিতরা হলেন– তুহিনের বাবা আবদুল বাছির (৪০), চাচা নাসির উদ্দিন (৩৫)। তুহিনের চাচা আবদুল মছব্বির (৪৫) ও জমসেদ আলীকে (৬০) বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। এ সময় আসামিরা কাঠগড়ায় ছিলেন।

এর আগে গত ১০ মার্চ সুনামগঞ্জের শিশু আদালত তুহিন হত্যা মামলায় তার ১৭ বছর বয়সী কিশোর চাচাতো ভাইকে ৮ বছরের কারাদণ্ড দেন।

তুহিন হত্যার ঘটনায় তার মা মনিরা বেগমের করা মামলায় পাঁচ আসামির মধ্যে তার চাচাতো ভাই শিশু হওয়ায় তার বিচার শিশু আদালতে হয়েছে।

২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর বাবাসহ পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে বহুল আলোচিত শিশু তুহিন হত্যাকাণ্ডের অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।

২০১৯ সালের ১৪ অক্টোবর সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কেজাউরা গ্রামে রোমহর্ষক এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। সকালে বাড়ির পাশের একটি গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় তুহিনের রক্তাক্ত লাশ পাওয়া যায়। তুহিনের গলা, দুই কান ও যৌনাঙ্গ কাটা ছিল। পেটে বিদ্ধ ছিল দুটি ছুরি। এ ঘটনায় তুহিনের মা মনিরা বেগম বাদী হয়ে পর দিন অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে দিরাই থানায় মামলা করেন।

এ মালায় পুলিশ তুহিনের বাবা, তিন চাচা ও এক চাচাতো ভাইকে গ্রেফতার করে।

হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকার প্রমাণসহ তাদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয়া হয়েছে। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ও প্রতিবেশী তথা এলাকাবাসীর সহমর্মিতা পেতে নির্মমভাবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়।

সুত্র-যুগান্তর